কলকাতা: লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অসংগঠিত শ্রমিকরা। ফলে এখন চারবেলা খাওয়ার জোটানো অসম্ভব। তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে রুটিরুজি জোগারে এখন হাত লাগিয়েছেন সন্তানরাও। ফলে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা। যেহেতু এখন এমনিতেই অনলাইন ক্লাস ভরসা। তাই স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের সুবিধা না থাকায় পড়াশোনা নিয়ে সেভাবে উৎসাহ দেখাচ্ছে না পড়ুয়ারা। মাঝেরহাট রেললাইন সংলগ্ন মধুবস্তি ঘিরে সেই ছবি উঠে এল এনডিটিভির ক্যামেরায়। মধু তৈরি করে ও তা খোলা বাজারে বেচে এই বস্তির অধিকাংশ পরিবারের সংসার চলে। সেই পরিবারগুলোর অন্দরে ঢুকে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে দেখলেন এনডিটিভির সাংবাদিক মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রিয়াঙ্কা খাতুন নামে এক ছাত্রী এতদিন ঘরবন্দী থেকে নিজের স্কুলের নামই ভুলে গিয়েছেন। সেই ২৫ মার্চ থেকে স্কুলের সঙ্গে সব সংস্রব ছিন্ন তাঁর। তাই এখন অসুস্থ মায়ের বদলি হিসেবে পরিচালকের কাজ করছেন প্রিয়াঙ্কা। একই অবস্থা দশম শ্রেণীর জিতু কুমার ভগতের। বইখাতা দেরাজে তুলে জিতু এখন ট্রাকের পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করে। প্রতিদিন দশ টাকা তাঁর মজুরি।
সেই বস্তির মধু সংগ্রহকারী আব্বাস আনসারির মন্তব্য, "আমি পড়াশোনা জানি না। তাই চেয়েছিলাম ছেলেমেয়েগুলো পড়াশোনা শিখুক। কিন্তু লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ। কাজ বন্ধ। তাই টিউশন ফির টাকা কোথা থেকে পাবো?"
অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা সাহানা বিবির দাবি, "যখন টাকা থাকে মোবাইল রিচার্জ করি। যখন থাকে না ফোন ডেড হয়ে পড়ে থাকে।"