একদল মন্ত্রীদের পরামর্শ স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বাড়ানো হোক লকডাউন
নয়াদিল্লি: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও চার সপ্তাহ বন্ধ থাকা উচিত এবং ধর্মীয় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞাও এই একই সময়ের জন্য বাড়ানো উচিত, মঙ্গলবার এমনই প্রস্তাব দিলেন একদল মন্ত্রী। সূত্রের খবর, এগুলিই সাফ ইঙ্গিত যে করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী লকডাউন একেবারেই উঠে যাবে না, বরং ধাপে ধাপে তোলা হবে নিষেধাজ্ঞা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৪ মার্চ তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেন যা ১৪ এপ্রিল শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাস (COVID-19) আক্রান্তেরর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা এই লকডাউনের সময়সীমা বাড়াতেই চায়। সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে, কেন্দ্র রাজ্যগুলির প্রস্তাব বিবেচনা করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও সোমবার বলেন যে সঠিক সময়ে ‘জাতীয় স্বার্থে' সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৫ মার্চের পর থেকে কোভিড-১৯ বিষয়ে তাদের চতুর্থ বৈঠকে মঙ্গলবার মন্ত্রীরা লকডাউন বাড়ানো হোক বা না হোক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারই প্রস্তাব দেন, বলেই সূত্রের খবর। বেশিরভাগ স্কুল এবং কলেজেই আর কিছু দিন বাদে গ্রীষ্মের ছুটি থাকারও কথা।
মন্ত্রীদের আরও পরামর্শ যে, সাধারণত যে সমস্ত জায়গাগুলিতে জনসাধারণের সমাগমের প্রবণতা রয়েছে যেমন- ধর্মীয় কেন্দ্রগুলি, তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। প্রয়োজনে ড্রোন উড়িয়ে বিশেষ তদারকির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, ধর্মীয় কেন্দ্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শপিংমলগুলিকেও কমপক্ষে আরও ৪ সপ্তাহ কাজ শুরু করতে দেওয়া উচিত নয়। ১৪ এপ্রিলের পর থেকে চার সপ্তাহ পরে যখন বর্তমান লকডাউন শেষ হবে তখনই এই ক্ষেত্রগুলি খোলা উচিত।
গত ২৪ ঘণ্টায়, দেশে ৫০৮ টি নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪,৭৮৯। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪।
তেলেঙ্গানাও লকডাউনের সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছিল। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের একটি সমীক্ষার উল্লেখ করে তেলেঙ্গানা যেখানে ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী কেটি রমা রাও মঙ্গলবার NDTV-কে জানিয়েছেন, এই সমীক্ষার মতে, দেশের করোনাভাইরাস আক্রমণের সংখ্যা ১ জুনের মধ্যেই সবথেকে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।