কলকাতা: একমাসে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি (revenue loss in Bengal) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। এপ্রিল মাসের (April) নিরিখে সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে সরকারি একটা রিপোর্ট। ইন্ডিয়া-র্যাটিং বা ইন্ড-রা'র বিশ্লেষক অনুরাধা বসুমাতারির দাবি, "মে মাসে এই রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। যদিও চলতি মাসে তৃতীয় দফার লকডাউনে (Lockdown) কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। তারপরেও আর্থিক বৃদ্ধি প্রভাবিত হবে।" রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে অনুরাধা দেবী বলেছেন, "এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ ক্ষতি হয়েছে ১,৫১৭ লক্ষ-কোটি, রাজ্য ভ্যাট বাবদ ক্ষতি হয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকা। রাজ্যের রাজস্ব আদায় বাবদ ক্ষতি ৯৬৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ লোকসান ৫২১ কোটি টাকা, গাড়ি কর বাবদ ২২০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ কর, ২১৪ কোটি টাকা অনাদায়ী রয়েছে।" সবমিলিয়ে মোট রাজস্বের ক্ষতি ৪, ১৭৯ কোটি টাকা। এমনটাই পিটিআইকে জানান অনুরাধা বসুমাতারি।
কৃষকদের আয় বাড়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইনে সংস্কার! ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
ইন্ড-রা' প্রকাশিত এই রিপোর্টে আরও ২১টি রাজ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। এপ্রিলে সবমিলিয়ে মোট রাজস্ব ক্ষতি ৯৭ হাজার ১০০ কোটি টাকার, উল্লেখ সেই রিপোর্টে। এদিকে, রিপোর্ট প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করলেও, এই রাজস্ব ক্ষতির জন্য উদ্বিগ্ন অর্থ দফতর। মে মাসেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে, আশঙ্কা তাদের। তবে, তৃতীয় দফার লকডাউনে মদ বিক্রির জেরে কিছুটা ঘাটতি পূরণ করা গিয়েছে, এমন দাবি করছেন রাজস্ব কর্তারা।
কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
এদিকে, স্টক শেষ হয়ে যাওয়াতে এখন বন্ধ মদ বিক্রি। কিন্তু সেই খাতে রাজস্ব দফতর মোট ১৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। এমনটাই সূত্রের খবর। অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০০ জন করোনা রোগী, আরও ৩,৯৬৭ জন নতুন করে বাসা বাঁধল ওই মারণ রোগ, সারা দেশে মোট ৮১,৯৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড ১৯- এ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে করোনায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে মোট ২,৬৪৯ জনের। তবে এখনও পর্যন্ত ওই রোগে আক্রান্ত হয়েও সুস্থতার পথে ফিরে গেছেন বহু মানুষ। ২৭,৯২০ জন মানুষ ভয়ঙ্কর সংক্রামক করোনার কবলে পড়েও চিকিৎসা সহায়তায় এখন ভালো আছেন ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে দেশে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয়। তবে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আগামী ১৭ মে তারিখের পরেও উঠছে না লকডাউন। ১৮ মে থেকে দেশে জারি হবে লকডাউন ৪.০।
তবে লকডাউন জারি রেখেই বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে কেন্দ্র। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরতেই হবে, তাই প্রথমেই শিথিল করা হতে পারে বিমান ও স্থানীয় পরিবহণগুলো চলাচলে জারি রাখা নির্দেশিকা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)