কলকাতা: লকডাউন কেমন চলছে দেখতে কলকাতার রাস্তায় বেরিয়েছিল যমরাজ আর আর গব্বর সিং (Gabbar Singh and Yamraj )। যেখানেই মানুষ লকডাউন ( Lockdown) বিধি ভেঙেছে সেখানেই গব্বরকে শাসাতে দেখা গিয়েছে। একইভাবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে বাইরে বেরনো মানুষদের চোখ রাঙিয়েছেন যম রাজও। বুধবার এমন দৃশ্য দেখা গেল দমদম বাজার এলাকায়। জানা গিয়েছে, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক ক্লাব এই বহুরূপীদের ভাড়া করেছিল। উপলক্ষ্য মানুষকে সচেতন করা আর সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এমনটাই জানা গিয়েছে সেই ক্লাব সূত্রে। মানুষকে অকারণে ঘুরতে দেখলেই যমরাজ বাণী দিয়েছে, "বাড়ি যাবি, না আমি তুলে নিয়ে যাব!" পাশাপাশি গব্বর সিং শাসিয়ে বলেছেন, "ঘরে ঢুকে যা, নয়তো গব্বর চলে আসবে।" এইভাবে সচেতন কোর্টে কলকাতার এপ্রান্ত থেকে ও ওপ্রান্ত ছুটে বেরিয়েছেন এই বহুরূপীরা।
চা, সিগারেটের দোকান খুলবে, তবে ভিড় করা যাবে না: ৪ মে থেকে পরিকল্পনা রাজ্যে
এদিন যমরাজের রূপে ঘুরতে থাকা অভিজিৎ সাধুখাঁকে বনহুগলি বাজারে ধরা হলে তিনি বলেছেন, "গত দু'মাস পানশালা বন্ধ থাকায় আমি বেকার। বাউন্সারের কাজ করতাম। আমার রুজিতে ছয় জনের সংসার চলে। তাই ঘরে বসে না থেকে এই কাজ বেছে নিলাম। প্রতিদিন দু'ঘণ্টা এই বহুরূপীর কাজ করে ৬০০ টাকা পাই।" এই কথার ফাকেই অভিজিতকে দেখা গেল মাস্ক ছাড়া এক নাগরিকের দিকে মাস্ক বাড়িয়ে দিতে। জানা গিয়েছে, খড়দহের বাসিন্দা অভিজিৎ সাধুখাঁ নিজের শরীরে সঙ্গে কণ্ঠস্বরের সামঞ্জস্য আনতে একাধিক কসরত করেছেন। তারপর যমরাজের মতো ব্যারিটন স্বর আত্মস্থ করতে পেরেছেন অভিজিৎ।
অন্য রাজ্যে সফরে অনুমতি পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া, পর্যটকদের: কেন্দ্র
অভিজিতের পাশাপাশি শহর দাপিয়ে বেড়ানো গব্বর সিংয়ের রূপে নিজেকে সাজিয়েছেন অশোক দে। পেশায় নাট্যকর্মী অশোক বাবুও এই সংক্রমণ আবহে কাজ হারিয়ে বহুরূপী সেজে উপার্জনের পথ বেছেছেন। এদিন অশোক দে বলেন, "কাজ খুইয়ে আমি একটা বিকল্প পেশার সন্ধান করছিলাম। তখনই স্থানীয় ক্লাব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। হনুমান আর গব্বর সিং সাজতে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সচেতনতার বার্তা দিতে আমি এই প্রস্তাব গ্রহণ করি। প্রতিদিন একঘণ্টা করে স্থানীয় জনপথে ঘুরে মানুষদের সচেতন করি। বিনিময়ে ৫০০ টাকা পাই।"
তবে, গব্বর সিংয়ের চেয়ে অশোক দে যেদিন মোগাম্বো সেজেছিলেন, সেদিন বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বাইরে না, ঘরে থাকুন তাহলেই মোগাম্বো খুশি হবে। তাঁর এই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল অনেকে। এদিন জানান পার্থ বাবু।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)