Coronavirus Lockdown: করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করে রাখা হয়েছে
হাইলাইটস
- লকডাউনের মেয়াদ চতুর্থ পর্যায়েও বাড়ানো হতে পারে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
- তবে মেয়াদ বাড়লেও সংক্রমণহীন এলাকাগুলোতে বিধিনিষেধ লঘু করা হবে
- ধীরে ধীরে কাজও শুরু করতে হবে, একথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ (COVID-19) রুখতে দেশে লকডাউনের (Lockdown) মেয়াদ বাড়ানোর কথাই ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি সূত্রগুলো NDTV কে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে। সোমবারই দেশের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা করতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি (PM Narendra Modi)। ওই বৈঠকেই নাকি তিনি বলেছেন, "আমি দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গিতেই মনে করছি যে লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে যতট কড়াকড়ির প্রয়োজন ছিল, ততটা দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল না এবং একইভাবে পরের মেয়াদেও তাই। সেভাবেই মনে করছি যে তৃতীয় পর্যায়ে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল, চতুর্থ মেয়াদে অতটাও কড়াকড়ির প্রয়োজন হয়তো হবে না"। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ যা খবর মিলছে তাতে মনে হচ্ছে যে ১৭ মে তারিখের পরে ফের বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ । জানা গেছে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবারের বৈঠক চলাকালীন বেশিরভাগ রাজ্যই লকডাউন বৃদ্ধি করারই দাবি জানিয়েছে।
যদিও রাজ্যগুলি একথাও বলেছে যে জেলা ভিত্তিক রেড জোন ঘোষণার পরিবর্তে যদি যে যে অঞ্চলে সংক্রমণ প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে সেই এলাকাগুলোকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয় তবে জেলার অন্যান্য অঞ্চলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা সম্ভব। এবিষয়ে আগামী ১৫ মে-র মধ্যে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এখন ষষ্ঠ সপ্তাহে পড়েছে দেশের লকডাউন, এই পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্যগুলিই কনটেইনমেন্ট জোনগুলির বাইরে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ফের শুরু করার পক্ষেই।
"ভারতে এই মহামারী যেভাবে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলি কোথায় কোথায় সেটাও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, আধিকারিকরা জেলা ধরে ধরে এগুলো সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন", বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
"এবং সেই জন্য, আমরা এখন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের কৌশলটিকে আরও ফোকাস করে এগোতে পারি, ঠিক যেমন হওয়া উচিত। আমাদের সামনে এখন দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জ, এক হল, রোগের সংক্রমণকে কমানো এবং পাশাপাশি জনজীবনেও স্বাভাবিক কাজ ধীরে ধীরে শুরু করা। তবে সমস্ত কিছুই করতে হবে নির্দেশিকা মেনেই", একথাও বলেন তিনি।
এদিকে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান মতে, ভারতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭০,৭৫৬ জন। ওই মারণ ভাইরাস এদেশে প্রাণ কেড়েছে মোট ২,২৯৩ জন মানুষের। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারা গেছেন ৮৭ জন করোনা রোগী। পাশাপাশি নতুন করে ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬০৪ জন।