COVID-19: শুধু ঘরবন্দি করে রাখলেই রেহাই মিলবে না এই মারণ ভাইরাস থেকে, সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
হাইলাইটস
- শুধু লকডাউন করেই বাগ মানানো যাবে না করোনা ভাইরাসকে, সতর্ক করল হু
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে নিরন্তর করোনা আক্রান্তদের সন্ধান চালাতে হবে
- হু-এর মতে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে লড়তে হবে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। অনেকেই ভাবছেন, দাঁতে দাঁত চেপে এই ক'দিন ঘরে কাটাতে পারলেই ওই রাক্ষুসে ভাইরাসের (Coronavirus) হাত থেকে রেহাই মিলবে। কিন্তু করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানাল শুধুমাত্র লকডাউন করে ওই মারণ ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকানো যাবে না। হু-এর মহানির্দেশক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন যে COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে শুধুমাত্র ঘরবন্দি থাকা দেশ তথা গোটা বিশ্ব থেকে এই ভাইরাস নির্মূল করার পক্ষে যথেষ্ট পদক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, "COVID-19 এর সংক্রমণ রোধের জন্যে, অনেক দেশই "লকডাউন" ব্যবস্থা চালু করেছে। তবে শুধুমাত্র, এই পদক্ষেপের ফলে এই মহামারী হার মানবে না। আমরা সব দেশকে একসঙ্গে করোনা ভাইরাসের আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাকে এর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে ও সাফল্য পেতে হলে একটি দ্বিতীয় উইন্ডো বা দ্বিতীয় পথও বেছে রাখতে হবে"।
সপরিবারে করোনা-আক্রান্ত চিকিৎসক, সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও কোয়ারান্টাইন
"লকডাউনে সংক্রমণ কমানো যেতে পারে মাত্র, কিন্তু ওই মহামারীর বিরুদ্ধে জেতা যাবে না, লোকজনকে ঘরবন্দি করে রাখলে হয়তো স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে, কিন্তু পুরোপুরি দূর করা যাবে না এই রোগকে। তাই সন্ধান করুন, বিচ্ছিন্ন করুন, পরীক্ষা করুন, চিকিৎসা করুন", বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, একই অবস্থা ভারতেও। এই অবস্থায় আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তাই এই মারণ ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে ১০ মাসের ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ২ দিন হাঁটলেন যুবক!
এমনকী করোনা ভাইরাসকে রুখতে চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মডেল মেনে চলার জন্যে অন্য দেশগুলিকে পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি। এই সংক্রমণ রুখতে এই সমস্ত দেশে লকডাউনের পাশাপাশি প্রত্যেক সম্ভাব্য রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। একমাত্র এই মডেল মেনে চললেই স্থায়ীভাবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে হু।