This Article is From May 29, 2020

পিপিই কিট পরে চুল-দাড়ি কাটছেন শিলিগুড়ির এক সেলুনের কর্মীরা

জানা গিয়েছে, সেই সেলুনের মালিক গ্রাহকদের প্রবেশের আগে স্ক্রিনিং করিয়ে নিচ্ছেন। স্যনাইটাইজার দিয়ে ধোয়ানো হচ্ছে তাঁদের হাত

পিপিই কিট পরে চুল-দাড়ি কাটছেন শিলিগুড়ির এক সেলুনের কর্মীরা

ফাইল ছবি।

শিলিগুড়ি:

সুরক্ষাবিধি মেনেই শিলিগুড়িতে খুলল সেলুন । চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলতে অনুমোদন দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি মেনে সেই প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে নির্দেশ গিয়েছিল। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে শিলিগুড়ির রথখোলা এলাকায় ঝাঁপ তুলল একটা সেলুন। সেই দোকানে ঢুকে দেখা গিয়েছে, কর্মীরা রীতিমতো পিপিই কিট (PPE Kits and Gloves) ও গ্লাভস পরে চুল-দাড়ি কাটছেন। জানা গিয়েছে, সেই সেলুনের মালিক গ্রাহকদের প্রবেশের আগে স্ক্রিনিং করিয়ে নিচ্ছেন। স্যনাইটাইজার দিয়ে ধোয়ানো হচ্ছে তাঁদের হাত। মধ্যিখানের চেয়ার ফাঁকা রেখে মানা হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বিধি। প্রতিটি সামগ্রি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্যানিটাইজ করাচ্ছেন সেলুন মালিক। সেই দোকানের এহেন পরিষেবা পেয়ে সন্তুষ্ট গ্রাহকেরা। তাঁদের আবেদন, "এলাকার অন্য সেলুনগুলো এই পথে চলুক।" 

মমতা মন্ত্রিসভায় করোনার থাবা, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু কোভিড- ১৯ পজিটিভ

অর্পণ দাস নামে ওই সেলুনের এক গ্রাহক বলেছেন, "ঢোকার মুখেই আমার স্ক্রিনিং হয়েছে। হাতে দেওয়া হয়েছে স্যানিটাইজার। তাই প্রাথমিক পরিষেবা বেশ ভালো। চেয়ারে বসতেই দেখলাম এক কর্মী গ্লাভস আর পিপিই কিট পরে এগিয়ে এলেন। আমি এই পরিষেবায় সন্তুষ্ট। কিন্তু আমার মনে হয় না অন্য দোকান এই পথে চলবে।" 

সেই সেলুনের এক কর্মী অর্জুন দাসের বক্তব্য, "আমরা পিপিই পোশাক, মাস্ক, গ্লাভস, চোখে রোদ চশমা পরছি। কাজের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিচ্ছি। সামাজিক দুরত্ব বিধি মেনেই পরিষেবা দিচ্ছি। প্রতি ব্যবহারের পর গরম জলে তোয়ালে ধুয়ে ফেলছি। যদিও এখন অনেক গ্রাহক কম। তাও আশা করব আমাদের পরিষেবার কথা শুনে এরপর ভিড় বাড়বে। আমাদের আবেদন, অন্য দোকানগুলো এভাবেই নিরাপত্তাবিধি মেনে চলুক।" 

এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও লাগাতার বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের কোভিড- ১৯ সংক্রমণকে রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর ফের একবার জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার বদলে মানুষের জীবন বদলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা ভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রোগ থেকে বাঁচতে সকলকে কড়া নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক জায়গাতেই মানুষ নিয়ম মানছেন না, তাই করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই ৬-৮ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যিক। রাজ্যের সব মানুষকেই এটা মেনে চলতে হবে বলে কড়া ভাষায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মাস্ক স্যানিটাইজেশন এবং হাত ধোয়া আবশ্যিক বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

.