This Article is From Mar 23, 2020

করোনাভাইরাস ঠেকাতে শুধুমাত্র লকডাউন করলেই হবে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গোটা বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস (Coronavirus) ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে শুধুমাত্র লকডাউন করলেই হবে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাস ঠেকাতে শুধুমাত্র লকডাউন করলেই হবে না জানাল হু

হাইলাইটস

  • গোটা বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে
  • এই ভাইরাস ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে
  • ইতালিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭০০০ পার করেছে

গোটা বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস (Coronavirus) ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। তিন লাখেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র চিন (China) এবং ইতালিতে (Italy) এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭০০০ পার করেছে। বহু দেশের সরকারের তরফ থেকে লকডাউন পরিস্থিতি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ভারতেরও বহু রাজ্যে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, লকডাউন ঘোষণা করে কি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো সম্ভব? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মতে উত্তর হল, একেবারেই না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) আপৎকালীন বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান জানিয়েছেন, "আবার এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার আগে তার থেকে বাঁচার জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য বিধি গুলি খুবই জরুরি।"

রিপোর্ট অনুযায়ী মাইক রায়ান জানিয়েছেন, "আমাদের এখন ফোকাস রাখা উচিত, যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আইসোলেশনে রাখা এবং সেই ব্যক্তিরা কত লোকের সংস্পর্শে এসেছেন, সেই তথ্য জানা আর তাদেরও আইসোলেশন রাখা। আমরা যদি কড়া হয়ে এই স্বাস্থ্যবিধি না মানি তাহলে লকডাউন করলেও ভয় থেকেই যাবে। যখন লোকজন কিংবা যে সমস্ত বিধি-নিষেধ এখন বলবৎ আছে সেগুলি উঠে যাবে তখন এই রোগ আবার মানুষের দেহে প্রবেশ করবে।" মাইক রায়ান এই কারণে চিন, সিঙ্গাপুর এবং সাউথ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। এই দেশগুলি শক্ত হাতে বাঁচার উপায় বের করেছে এবং যাদের দেহে এই রোগ আছে  বলে সন্দেহ করেছে তাদের পরীক্ষা করানো হয়েছে। একবার যদি এর সংক্রমণ আটকে দেওয়া যায়ও তো তার পরেও এর পরীক্ষা করতে হবে।

২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন পশ্চিমবঙ্গ, সোমবার থেকেই শুনশান কলকাতা

এরপর তিনি জানিয়েছেন,"বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চলছে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকা এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করেছে, ব্রিটেনেও এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। ভ্যাকসিন তৈরি করতে এক বছরও লাগতে পারে। কিন্তু এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে নিজেদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। ভারতে এখনও পর্যন্ত রাজস্থান, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা, কেরালা ,জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, গুজরাট, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু রাজ্য, পুরসভাগুলি পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করেছে। আবার কোথাও কিছু কিছু জেলাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করেছে। সব রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, এই রাজ্যে ২৭ মার্চ অবধি চলবে লকডাউন।

.