লকডাউনে স্তব্ধ জনজীবন। যার প্রভাব পড়েছে পাহাড়ের চা-বাগান শিল্পে।(ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- লকডাউনে প্রভাবিত দার্জিলিংয়ের চা-শিল্প
- অধিকাংশ বাগানে পড়ে থেকেই পচছে মরশুমের প্রথম চায়ের পাতা
- এর জেরে মাথায় হাত বাগান মালিকদের
কলকাতা: লকডাউনে (Nationwide Lockdown) স্তব্ধ জনজীবন। যার প্রভাব পড়েছে পাহাড়ের চা-বাগান শিল্পেও (Tea Estate in North Bengal)। শনিবার বাগান মালিক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বাগিচায় পড়ে থেকই পচছে দার্জিলিং চায়ের (Darjeeling Tea) পাতা। মরশুমের প্রথম এই পাতা থেকে প্রায় ৪০% আয় করেন বাগান মালিকরা। দেশ-বিদেশে এই প্রথম পাতার চাহিদাও তুঙ্গে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে পাতা তুলতে না পাড়ায় বাগানেই নষ্ট হচ্ছে সেই চা-পাতা। ফলে এখন মাথায় হাত বাগান মালিকদের। দার্জিলিং চা-বাগান সংগঠনের কর্তা বিনোদ মোহনের দাবি, "এর জেরে আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে পাহাড়ের চা-বাগান শিল্প।" জানা গিয়েছে, পাহাড়ের চা-শিল্প থেকে বছরে ৮ লক্ষ কেজি চা উৎপাদন হয়ে থাকে। মরশুমের প্রথম এই চা-পাতা থেকে সেই উৎপাদনের ২০% আসে। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ। বেশিরভাগ বাগান শুকিয়ে গিয়েছে।
রবিবার রাত ন'টার কর্মসূচি পালনে প্রভাবিত হবে না পাওয়ার গ্রিড: বিদ্যুৎ মন্ত্রক
দার্জিলিং চা-বাগান সংগঠনের প্রাক্তন কর্তা অশোক লোহিয়া পিটিআইকে বলেছেন, "মরশুমের প্রথম এই চা পাতা রপ্তানি করা হয়। তাই অভিজাত এই চা পাতার উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটলে তার প্রভাব চা-শিল্পে পড়বেই।" জানা গিয়েছে, বাগানের প্রথম এই চা-পাতার মরশুম চলে মার্চ থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কিন্তু করোনা সংক্রমণ, সরকারি বিধি-নিষেধ এবং চলতি লকডাউনের জেরে সেভাবে সক্রিয় হতে পারেননি চা শ্রমিকরা। ফলে প্রভাবিত উৎপাদন। ওই সংগঠনের দাবি, "এমনিতে এই শিল্পে মন্দা। তার মধ্যেও শ্রমিকদের প্রাপ্য মিটিয়েছে কিছু বাগান মালিক। সরকারি নির্দেশ মেনে সেই পথে হেঁটেছেন তাঁরা। তবে এমন অনেক বাগান মালিক আছেন, যারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী নন। তাঁদের পক্ষে সরকারি শ্রমবিধি মেনে বকেয়া মেটানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে।" বিনোদ মোহন জানিয়েছেন, মালিকদের ব্যয়ভার লাঘবের অনুরোধ তাঁরা রাজ্য সরকারকে করেছেন। সংগঠন সূত্রে খবর, গোটা পাহাড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৭টি বাগান রয়েছে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ২২। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন শ্রমিকদের বকেয়া মেটাতে পেরেছে। গ্লেনবার্ন, মকাইবাড়ি, আম্বিয়ক, তিনধারিয়া, জাংপাড়া শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়েছে।
"তালি বাজিয়ে, আকাশে টর্চ মেরে সমস্যার সমাধান হবে না", টুইটে কটাক্ষ রাহুল গান্ধির
মালিক সংগঠনের দাবি, "যারা বকেয়া মেটাতে পারেনি তারা শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছে। দ্রুত সমাধান সূত্র মিলবে।" সরকারি ভর্তুকিতে রেশন ও খাদ্যপণ্যের সঙ্গে দৈনিক ১৭৬ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন বাগান শ্রমিকরা। এ প্রসঙ্গে মকাইবাড়ি চায়ের মালিক রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউন চলাকালীন শ্রমিকদের রেশন-সহ দৈনিক ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।" পাশাপাশি সংক্রমণ এড়াতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছে। বাগানেই কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন কেন্দ্র খুলেছে মকাইবাড়ি। এদিন জানান রুদ্র চট্টোপাধ্যায়।