This Article is From Jun 05, 2020

ড্রয়িং রুমে হাসি ফুটিয়ে ১০ জুন থেকে ফ্লোরে ফিরছে টলিউড! শর্তাধীন শ্যুটিংয়ের অনুমতি

এবার আবার ১০ জুন থেকে শ্যুটিং শুরু করা হচ্ছে টলিউডে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এমনটাই জানিয়েছেন। তবে শর্তাধীনে চালু করতে হবে সেই শ্যুটিং

Advertisement
সিটিস Written by
কলকাতা :

১৭ মার্চ শেষবার প্যাকআপ হয়েছে টলিউডে। তারপর প্রায় আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ বাংলা ধারাবাহিকের শ্যুটিং। এবার আবার ১০ জুন থেকে শ্যুটিং শুরু করা হচ্ছে টলিউডে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এমনটাই জানিয়েছেন। তবে শর্তাধীনে চালু করতে হবে সেই শ্যুটিং। কী সেই শর্ত? মন্ত্রী বলেছেন, "কোনও শিশুশিল্পীকে শ্যুটিং ফ্লোরে ডাকা যাবে না। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা শিল্পী, তাঁদের মুচলেকা দিয়ে শ্যুটিং ফ্লোরে আসতে হবে। মুচলেকায় লিখতে হবে, স্বেচ্ছায় তিনি শ্যুটিং করছেন। ফের সন্ধ্যার টিভিতে ফুটে উঠবেন কাদম্বরী, জুন আন্টি কিংবা জবা। সূর্য ডুবলেই ফের টেলিভিশনের দখল নিয়ে নেবেন বাড়ির মা-মাসিরা। এমনটাই দাবি বাংলা বিনোদন জগতের। এদিকে, এই খবরে স্পষ্টতই উচ্ছ্বসিত টলিউডের কলাকুশলীরা। স্টার জলসার পরিচিত মুখ তথা "কে আপন কে পরের" বড়দি'র চরিত্রে অভিনয় করা অনিন্দিতা রায় চৌধুরির দাবি, "কিছুটা আশ্বস্ত। আমার ধারণা ছিল জুন মাসে একটা ভালো খবর আসবে। সেটা যে এত তাড়াতাড়ি আসবে ভাবনায় ছিল না।" "গত প্রায় ৩ মাস একটা অজানা ভবিষ্যতের দিকে ছুটেছি। যতদিন গড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্তরে একটার পর একটা শিল্পে বিধি শিথিল হয়েছে। তাই আশা ছিল আমরাও হয়তো খুব তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে পারব।," এমনটাও বলেছেন তিনি। "সেই কারণে আমাদের ভবিষ্যৎ কী, এই ভেবে দিন গুজরান করছিলাম," এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন অনিন্দিতা। এদিকে, পয়লা জুন থেকে দেশে লাগু হয়েছে লকডাউন ৫.০। এই লকডাউনকে আনলক ১.০ হিসেবে দেখছে কেন্দ্র। ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করা হবে জনজীবন। সেই মোতাবেক ৮ জুন থেকে ধাপে ধাপে প্রায় স্বাভাবিক হবে দেশ। 

করোনা সতর্কতায় ধর্মীয় স্থানগুলোতে বন্ধ থাকছে প্রসাদ ও চরণামৃত বিতরণ, গাওয়া যাবে না প্রার্থনা সঙ্গীতও

এদিকে, ৮ জুন থেকে দেশে সমস্ত অফিস খোলার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কর্মসংস্কৃতি চালু করার পথে হাঁটলেও সমস্ত দফতরেই মেনে চলতে হবে করোনা সতর্কতায় জারি নির্দেশিকা, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশ অনুসারে, কোনও অফিসের কর্মী যদি কোভিড -১৯ এর কনটেইনমেন্ট জোনে বাস করেন, তবে তাঁর এলাকাকে যতদিন না পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংক্রমণ মুক্ত বলে ঘোষণা করছে ততদিন পর্যন্ত তাঁকে বাড়ি থেকেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।

Advertisement

পাশাপাশি কেন্দ্র একথাও জানিয়েছে যে, যদি কোনও অফিস চত্বরে একটি বা দুটি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তবে তার জন্যে গোটা অফিস বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই।অফিসটিকে স্যানিটাইজ করে ভাইরাস মুক্ত করার পর ফের কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে তারপরেও যদি দেখা যায় যে সেখানে কোভিড -১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তবে পুরো অফিস চত্বরটিই কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হবে এবং ততদিন সমস্ত কর্মচারীই বাড়ি থেকে কাজ করবেন। 

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের পথে হেঁটেছে দেশ। এর ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, বেকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ভারতীয় অর্থনীতিকে ফের ঘুরে দাঁড় করাতে তাই এবার কর্মসংস্কৃতি চালুর পথেই হাঁটতে চায় সরকার। 

Advertisement
Advertisement