পঙ্গপালের ১০ টি তথ্য রইল এখানে:
পঙ্গপালদের দেখতে সাধারণ ফড়িংয়ের মতো। সাধারণত একা একাই ঘুরে বেড়ায় এরা। কিন্তু শুকনো মরশুমে দল বেঁধে একসঙ্গে খাবারের অনুসন্ধানে বেরিয়ে পড়ে তারা। মাঠের পর মাঠ তাদের অনন্ত খিদের শিকার হতে পারে নিমেষে।
এরা কেবল গাছপালা খায়। বর্ষার আগে শুখা মরশুমে দল বেঁধে সবুজ ক্ষেতে লাফিয়ে পড়ে। পরস্পরের কাছাকাছি এলে সেই নৈকট্যে তাদের শরীর থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। যে কারণে তারা আরও সামাজিক হয়ে ওঠে। পরে বর্ষায় তারা প্রচুর পরিমাণে সন্তান উৎপাদন করে।
খুব দ্রুত এরা এক এলাকা থেকে অন্যত্র যেতে পারে। এক এক ঝাঁকে লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল থাকতে পারে। এক দিনেই তারা বহু মাইল পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দীর্ঘ সময় তারা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। সাবধান না হলে এরা এক একটি শস্যক্ষেত্রকে কয়েক ঘণ্টায় রিক্ত করে দিতে পারে।
মরুভূমির পঙ্গপালদের পূর্ব আফ্রিকা ও সুদানে পাওয়া যায়। এরা সেখান থেকে সৌদি আরব ও ইরান হয়ে পাকিস্তান এবং ভারতে প্রবেশ করে।
বর্তমানে রাজস্থানের ৩৩টি জেলার ১৬টি পড়েছে পঙ্গপালের কবলে। ফলে সেই রাজ্যের রবিশস্য উৎপাদন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
এই সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহর বিধানসভা ক্ষেত্র বুধনিতে ঢুকে পড়েছে তারা। পরে রাজ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে তাদের।
মধ্যপ্রদেশের কৃষি দফতরের তরফে সেখানকার কৃষকদের বলা হয়েছে পঙ্গপাল হানা দিলে তাদের প্রবল শব্দ করে তাড়িয়ে দিতে। সেজন্য ড্রাম এমনকী থালাবাটি বাজানোর এবং চিৎকার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, দ্রুত এই পঙ্গপালদের থামানো না গেলে তারা ৮,০০০ কোটি টাকার মুগ শস্য নষ্ট করে দেবে।
শস্য বিনষ্টকারী সমস্ত ক্ষতিকর পতঙ্গের মধ্যে পঙ্গপালকে শীর্ষে রেখেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ‘এফএও'।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পঙ্গপালের ঝাঁকের আগমনের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।