Read in English
This Article is From May 29, 2020

বিমান ওঠানামায় মারাত্মক সমস্যা করতে পারে পঙ্গপালের ঝাঁক: সতর্ক করল ডিজিসিএ

ডিজিসিএ জানিয়েছে, “যদিও একটি পৃথক পঙ্গপাল আকারে ছোট, তবে উইন্ডশিল্ডের উপরে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল উড়ে এলে পাইলটের ফরোয়ার্ড ভিশন সমস্যায় পড়তে পারে।"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

বিমান পঙ্গপালের ঝাঁকের মধ্যে দিয়ে উড়ে গেলে ইঞ্জিন ইনলেট, এয়ার কন্ডিশনার প্যাক ইনলেট ক্ষতির মুখে পড়বে

নয়াদিল্লি:

অবতরণ ও যাত্রা করার সময় বিমানগুলিকে মারাত্মক সমস্যায় ফেলতে পারে পঙ্গপালের ঝাঁক! প্রায় তিন দশক পরে পশ্চিম ও মধ্য ভারতে দেখা গিয়েছে পঙ্গপালের হামলা। এরই মধ্যে শুক্রবার সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিসিএ) সতর্ক করেছে বিমান সংস্থাগুলিকে। বিমান সংস্থাগুলিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিসিএ জানিয়েছে, “সাধারণত পঙ্গপাল নিম্ন স্তরে পাওয়া যায় এবং তাই অবতরণে এবং উড়ান দেওয়ার সময় বিমানের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।"

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিমান পঙ্গপালের ঝাঁকের মধ্যে দিয়ে উড়ে গেলে ইঞ্জিন ইনলেট, এয়ার কন্ডিশনার প্যাক ইনলেট ইত্যাদির মতো জায়গা প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির মুখে পড়বে।" পঙ্গপালের ঝাঁক উড়ে যাওয়ার সময় সেন্সর এবং যন্ত্রপাতিকেও আঘাত করতে পারে, যার ফলে ভুল রিডিং উঠতে পারে, বিশেষত অবিশ্বাস্য বায়ুর গতি এবং অল্টিমিটারের সূচক অক্ষম হয়ে যেতে পারে।

ডিজিসিএ জানিয়েছে, “যদিও একটি পৃথক পঙ্গপাল আকারে ছোট, তবে উইন্ডশিল্ডের উপরে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল উড়ে এলে পাইলটের ফরোয়ার্ড ভিশন সমস্যায় পড়তে পারে যা অবতরণ এবং উড়ান দেওয়ার সময় মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। ওয়াইপার ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে ফলে পাইলটকে উইন্ডশিল্ড থেকে পঙ্গপালদের সরাতে ওয়াইপার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই দিকটি বিবেচনা করা উচিত।”

Advertisement

পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা গেলে বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীরা পাইলটদের জানাতে পারেন কিনা জানতে চাওয়া হলে সংস্থাটি জানায়, বড় ঝাঁক একটি বৃহত অঞ্চল জুড়ে ভিজ্যুয়াল গ্রাউন্ড যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

“যতদূর সম্ভব, কড়াভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কোনও পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা গেলে বিমান চলাচল এড়ানো উচিত। একমাত্র ভালো দিকটা হ'ল পঙ্গপাল রাতে ওড়ে না, এরফলে আরও ভালভাবে দেখা যাবে আর সতর্ক থাকা যাবে,” জানিয়েছে সংস্থা।

Advertisement

মরুভূমির পঙ্গপালের বিশাল ঝাঁক বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে ফসল ধ্বংস করে দিচ্ছে, যার ফলে কড়া সতর্কতা নিতে বাধ্য হচ্ছে সমস্ত রাজ্য প্রশাসনই।

পঙ্গপাল সনাক্ত করতে এবং কীটনাশক স্প্রে করার জন্য ড্রোন, ট্রাক্টর এবং গাড়ি পাঠানো হয়েছে। পঙ্গপাল ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০,০০০ হেক্টর ফসলি জমি ধ্বংস করেছে। দুই রাজ্যেই মরশুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে পঙ্গপাল এবং করোনাভাইরাস লকডাউনের মাঝেই এই সমস্যা নিয়ে বিধ্বস্ত বহু কৃষকও।

Advertisement