সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য রাজস্থান।
নয়া দিল্লি: সীমান্ত (Pakistan) পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে ইতিমধ্যে শস্যের দফারফা করেছে পঙ্গপাল (Locusts Attack)। পশ্চিম, উত্তর ও মধ্য ভারত হয়ে আপাতত মহারাষ্ট্র (Maharastra) অবধি ছড়িয়েছে এই পাল। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতের। গত ৩ দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এই পঙ্গপাল আক্রমণ। এমনটাই দাবি করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। তবে চুপ করে বসে নেই কৃষি মন্ত্রক। দেশের ৩০৩টি এলাকায় প্রায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে এই পতঙ্গকে শায়েস্তা করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের ২০টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ৯টি জেলা, গুজরাতের দুটি আর উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের একটি করে জেলায় পতঙ্গ-প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে কৃষি মন্ত্রক।
গত ৩ দশকের মধ্যে বিপজ্জনক এই হামলা। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঠেলায় যখন অস্থির গোটা দেশ, ঠিক সেই সময় গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের হানা। একের পর এক কৃষিজমির সমস্ত ফসল খেয়ে নষ্ট করছে ওই মারাত্মক পতঙ্গটি। কোথা থেকে আসছে এই পঙ্গপালের ঝাঁক? দেশের কৃষিমন্ত্রক জানাচ্ছে, মূলত পাকিস্তান থেকেই ওই ফসল বিনষ্টকারী পঙ্গপালের আবির্ভাব হচ্ছে এদেশে। অনেকেই বলছেন, এতদিন সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর বলে পরিচিত ছিল পাকিস্তান, আর এখন সেটি হয়ে উঠেছে পঙ্গপালের প্রজনন ক্ষেত্রও। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পাক-এলাকায় তাঁরা বংশবৃদ্ধি করছে এবং সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে দল বেঁধে প্রবেশ করছে ভারতে। কৃষিবিভাগের উপ-নির্দেশক বি আর কাদওয়া জানিয়েছেন, পাকিস্তান সংলগ্ন অঞ্চলগুলি থেকেই সম্প্রতি রাজস্থানেও প্রবেশ করেছে পঙ্গপালের একটি নতুন দল।
হানা দিয়েছে পঙ্গপালের ঝাঁক, কতটা ক্ষতি করতে পারে তারা: ১০ তথ্য
প্রতিদিন ৫০-১০০ কিমি পথ পারি দিতে পারে পঙ্গপালের ঝাঁক।
"পাক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২-৩ দিন অন্তর ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল রাজস্থানে প্রবেশ করছে। পাকিস্তান পঙ্গপালের নতুন এক প্রজননভূমিতে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকেই মূলত রাজস্থান সহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পঙ্গপালের হামলা হচ্ছে। পঙ্গপালের চারটি বড় ঝাঁক সম্প্রতি জয়পুরে প্রবেশ করেছে", সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন বি আর কাদওয়া।
বিপন্ন খাদ্যসুরক্ষা! দেশে ঢুকে পড়ল পঙ্গপালের দল! কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্টের মুখে!
"গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে, আমরা প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১ কিলোমিটার প্রস্থ এলাকা ধরে ঘুরে বেড়ানো পঙ্গপালের ঝাঁককে ধ্বংস করেছি। সবচেয়ে বড় কথা ওই পতঙ্গগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে।