This Article is From Feb 13, 2020

“ঘৃণার মন্তব্যের প্রয়োজন নেই” বিহার নির্বাচনের আবহে বললেন চিরাগ পাশোয়ান

বিজেপির পক্ষে বিদ্বেষ আংশিকভাবে কাজ করেছে কিনা, তার উত্তরে চিরাগ পাশোয়ান বলেন, “ভোটের শতাংশ বেড়েছে, কারণটা আমি জানি না। তবে যতটা বেড়েছে যথেষ্ঠ নয়”

চিরাগ পাশোয়ান বলেন, ঘৃণার মন্তব্য প্রয়োজন নেই এবং তাতে “কাজ থেকে নজর সরে যায়”

নয়াদিল্লি:

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi elections) আবহে একাধিকবার ঘৃণার মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতারা, আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে তাদেরই বিহারের জোটসঙ্গী। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই, বিহারে বিধানসভা নির্বাচন, বৃহস্পতিবার লোকজনশক্তি পার্টির (Lok Janshakti Party) প্রধান রাম বিলাশ পাশোয়ানের(Ram Vilas Paswan) ছেলে চিরাগ পাশোয়ান (Chirag Paswan) বললেন, যদি দিল্লির ভোটের পুনরাবৃত্তি বিহারে হয়, তাহলে তিনি আপত্তি জানাবেন। দিল্লি ভোটের প্রচারে শাহিনবাগ ইস্যু এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রচারে তুলে ধরার কৌশল ভুল ছিল কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে চিরাগ পাশোয়ান NDTV কে বলেন, “অবশ্যই ওটা ভুল ছিল। যদি এটা ভুল না হত, তাহলে ফল এত খারাপ হত না”।

“গুলি মারো” এইসমস্ত মন্তব্য করা উচিত হয়নি, দিল্লিত হারের পর বললেন অমিত শাহ

বিজেপির পক্ষে বিদ্বেষ আংশিকভাবে কাজ করেছে কিনা, তার উত্তরে চিরাগ পাশোয়ান বলেন, “ভোটের শতাংশ বেড়েছে, কারণটা আমি জানি না। তবে যতটা বেড়েছে যথেষ্ঠ নয়”।

দিল্লিতে দলের খারাপ ফল নিয়ে পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করে বিজেপি।

এবারের নির্বাচনে প্রচারে ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের নেতাদের নামিয়েছিল বিজেপি, তবে গোটাকয়েক আসন বেশি পেয়েছে তারা। গতবারের পাওয়া তিনটি আসন বেড়ে এবারে হয়েছে ৮। অন্যদিকে,  এবারের নির্বাচনের আবহে বরাবরই বিতর্ক থেকে দূরে সরেছিল আম আদমি পার্টি, তারা ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়লাভ করেছে।

‘‘আমাদের কেউ কেউ এখনও নিজেদের মন্ত্রী ভাবছেন'': কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে

এদিন, চিরাগ পাশোয়ান স্বীকার করেন, যে কৌশল বিজেপি নিয়েছিল এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে, তার চেয়ে উচিত ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজ তুলে ধরা। তিনি বলেন, ঘৃণার মন্তব্যের কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ তারফলে “কাজ থেকে নজর সরে যায়”।

লোকজনশক্তি পার্টির নেতা বলেন, “স্থানীয় নির্বাচনে সবসময়েই স্থানীয় সমস্যা গুরুত্ব পায়। যদি কোনও বিষয় সম্পর্কে বলতে শুরু করা হয়, তাহলে তা কাজে আসবে না”।

.