Read in English
This Article is From Apr 19, 2019

সাধ্বী বললেন হেমন্ত কারকারেকে অভিশাপ দিয়েছিলাম, শুনে হাততালি দিলেন বিজেপি নেতারা

মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর এবার বিজেপির প্রার্থী। প্রচার শুরু করতেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা এবার বিজেপির প্রার্থী
  • তিনি বলেন, ‘আমি হেমন্ত কারকারেকে অভিশাপ দিয়েছিলাম
  • কথা শুনে পাশে বসে হাততালি দিলেন বিজেপি নেতারা
ভোপাল:

মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর এবার বিজেপির প্রার্থী। প্রচার শুরু করতেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি হেমন্ত কারকারেকে অভিশাপ দিয়েছিলাম। আমি  বলেছিলেন আপনি শেষ  হয়ে যাবেন। আর তার দুমাসের মধ্যে জঙ্গিদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয়।' সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি যখন একথা বলছেন  তখন পাশে বসে হাততালি দিলেন বিজেপি নেতারা।  এই হেমন্ত কারকারে কথা  সকলের মনে  আছে। ২৬/ ১১  মুম্বই হামলার সময়  জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে  সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্র এটিএসের প্রধান হিসেবে মালেগাঁও বিস্ফোরণ কান্ডের তদন্ত  করেছিলেন। সাধ্বীকেও জেরা করেছিলেন তিনি। সে কথা মনে করে  সাধ্বী বলেন, ‘ তদন্তকারি দলের তরফে  হেমন্তকে ডেকে  বলা  হয় আমার বিরুদ্ধে  কোনও প্রমাণ না পেলে যেন আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু উনি বলেছিলেন আমার  বিরুদ্ধে  প্রমাণ জোগাড় করতে যা দরকার তাই করবেন। আমাকে ছাড়বেন না। উনি এতটাই জটিল মনের মানুষ  ছিলেন। উনি দেশদ্রোহী এবং ধর্ম  বিরোধী ছিলেন। আমি বলেছিলাম আপনার বিনাশ হবে। কিছু দিনের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পাশে বসা বিজেপি নেতাদের এ কথা  শুনে  হাততালি দিতে দেখা যায়। সাধ্বী বলেন যেভাবে  সাধুদের অভিশাপে দুষ্টেরা প্রাণ হারায় সেভাবেই হেমন্ত কারকারের প্রাণ গিয়েছে।

মুম্বই থেকে  ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মালেগাঁওতে ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরণ হয়। তাতে ছ' জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ১০১ জন মানুষ। সেই ঘটনার তদন্তের ভার ছিল হেমন্তের উপর।   এই ঘটনায় সাধ্বীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রেখে মামলা শুরু হয়। সাত বছর বাদে  ২০১৫ সালে তাঁকে ক্লিনচিট দেয় এনআইএ। কিন্তু ট্রায়াল  কোর্ট তাঁকে মুক্তি দেয়নি।  এনআইএ বলে সাধ্বীর বিরুদ্ধে  কোনও প্রমাণ পাওয়া  যায়নি। পাল্টা আদালাত বলে  বিস্ফোরণে তাঁর মোটরবাইক ব্যবহার হয়েছে অথচ তিনি জড়িত নন এটা মেনে নেওয়া  কঠিন। এনআইএ-র দাবির পর একটি মামলা বন্ধ হলেও  ইউএপিএ ধারায় মামলা চলছে। এ হেন সাধ্বী বিজেপিতে যোগ দিয়ে  লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।         

Advertisement
Advertisement