Maharashtra Government Formation: গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে মহারাষ্ট্রে এই অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখান সনিয়া এবং রাহুল গান্ধি
নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনৈতিক নাটকের অন্য আরেক পর্বের সাক্ষী থাকল সংসদ। সোমবার লোকসভায় মহারাষ্ট্র ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদদের দেখানো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন। লোকসভার ভিতরে তো বটেই, বিক্ষোভের আঁচ গড়াল সংসদ চত্বরেও। সেখানে সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলনে সরব হলেন হাতের দলের সাংসদরা। সংসদের বাইরে ও ভিতরে লাগাতার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের (Maharashtra Government Formation) বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত হল অধিবেশনের স্বাভাবিক কাজ (Lok Sabha Adjouurned)। সোমবার লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেসের একদল সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এবং অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে গিয়ে ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। মহারাষ্ট্রে "গণতন্ত্রের হত্যা" হয়েছে এবং এই ধরণের কাজ বন্ধ করা হোক, দাবি জানান তাঁরা।
ওম বিড়লা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে কাজ না হওয়ায়, কংগ্রেসের দুই সাংসদ টিএন প্রথাপন এবং হিবি ইডেনকে লোকসভা কক্ষ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিক্ষোভরত কংগ্রেস সাসংদদের হাতে থাকা ব্যানার অপসারণেরও নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু লোকসভার অধ্যক্ষের নির্দেশ সত্ত্বেও অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ দেখাননি তাঁরা। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস সাংসদদের বহিষ্কারের বিষয়ে অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। তখনই লোকসভার মার্শালদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও পরে কংগ্রেস অভিযোগ করে যে, মহিলা সাংসদদের "গায়ে হাত তোলা হয়েছে"।
"গণতন্ত্রের হত্যা": মহারাষ্ট্রের চলতি নাটক নিয়ে সংসদে বললেন রাহুল গান্ধি
মহারাষ্ট্রে যেভাবে রাতারাতি সরকার গঠন করেছে বিজেপি, তা নিয়ে সোমবার লোকসভার অধিবেশনে ক্ষোভ উগরে দেন রাহুল গান্ধি। গোটা ঘটনাকে "গণতন্ত্রের হত্যা" বলে উল্লেখ করে ওই কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে একথাও বলেন যে যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করার মানেই হয় না। এদিক আজই (সোমবার) মহারাষ্ট্রের পালাবদলের বিরুদ্ধে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। মহাত্মা গান্ধির মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার হাতে নিয়ে মোদি সরকারকে উদ্দেশ্য করে, "শেম শেম (লজ্জা লজ্জা)" ধ্বনিও তোলেন ওই দলের সাংসদরা।
শুধু লোকসভাই নয়, কংগ্রেস-ডিএমকে এবং বামপন্থী দল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি মিলে একই রকম বিক্ষোভ দেখায় রাজ্যসভাতেও। এই বিক্ষোভের জেরে দুপুর ২ টো পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন স্থগিত করে দিতে হয়। তাঁরা বিজেপি বিরোধী স্লোগানও দেন রাজ্যসভায়।
মহারাষ্ট্র নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্যসভার সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু মহারাষ্ট্র ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের তোলা দাবি নস্যাৎ করে দেন। তিনি বলেন যে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির পদক্ষেপ নিয়ে বা সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন প্রত্যাহার নিয়ে কোনও বিতর্কের প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার পরেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে। তিনি একথাও বলেন, এ জাতীয় কোনও প্রস্তাব আগে উত্থাপন করা হয়নি।
শনিবার সকালেই গোটা দেশকে অবাক করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সরকার গড়ার ব্যাপারে সমর্থন জোগান। যদিও শিবসেনা প্রধান বলেন, বিজেপিকে সমর্থনের বিষয়টি পুরোপুরি অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে এনসিপি দলের কোনও যোগ নেই।
মহারাষ্ট্র সহ গোটা দেশের খবর জানতে চোখ রাখুন এই ভিডিওতে: