আজ লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন
নিউ দিল্লি: আজ লোকসভায় অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি শাসক বিজেপি। যে ম্যারাথন বিতর্ক হতে চলেছে আজ, তাতে শাসক দল, তাদের জোটশরিক এবং বিরোধী পক্ষ- সকলেই গত চার বছরে মোদী সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব্য পেশ করবে। বিরোধী পক্ষ মোদী সরকারের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে সংসদে গলা ফাটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একদিকে। অন্যদিকে, শাসক জোট শুধুমাত্র যে বিরোধীদের সেইসব যুক্তিকে হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজেদের অস্ত্রে শান দিচ্ছে, তা-ই নয়, গত চার বছরে মোদী সরকারের ‘কৃতিত্ব’গুলোও তুলে ধরবে তারা। বিজেপির বহু জোটশরিকই সরকারের বিভিন্ন কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। কিন্তু, আজকের গুরুত্বপূর্ণ দিনে তারা সব ভুলে গিয়ে সরকারের পাশে দাঁড়াবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাংসদের সংখ্যার নিরিখে বিজেপির থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকা কংগ্রেস জানিয়েছে, এই অনাস্থা প্রস্তাব তাদের কাছে শুধুমাত্র সংখ্যার খেলা নয়। তারা জানিয়েছে, এই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তারা মোদী সরকারের বিভিন্ন ত্রুটি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার ব্যাপারে অনেক বেশি বদ্ধপরিকর। ম্যারাথন বিতর্কে নিজের জবাবী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরবেন। এছাড়া, ওয়াকিবহালমহল আজকের দিনটিকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদীর প্রচার আরম্ভের দিন হিসাবেও দেখছেন। লোকসভায় তাদের সাংসদের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সাতঘন্টার ম্যারাথন বিতর্কে বিজেপি তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য মোট সময় পাবে 3 ঘন্টা 33 মিনিট। কংগ্রেস সময় পাবে 38 মিনিট। অনাস্থা প্রস্তাব প্রথম যে দল পেশ করেছিল, সেই তেলুগু দেশম পার্টি পাবে 13 মিনিট। বাকি বিরোধী দলের মধ্যে এআইএডিএমকে পাবে 29 মিনিট, তৃণমূল কংগ্রেস পাবে 27 মিনিট, বিজু জনতা দল পাবে 15 মিনিট এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি পাবে 9 মিনিট সময়।
আজ সারাদিন ধরে লোকসভায় যে যুদ্ধ চলবে তার LIVE UPDATE দেওয়া হল এখানে :
ভোটে হেরে গেল অনাস্থার পক্ষে থাকা জোট।
লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন:- পক্ষে আছেন যাঁরা, তাঁরা 'হ্যা"-তে দিতে পারেন নিজেদের ভোটটি। বিপক্ষের যাঁরা, তাঁরা 'না'-তে দিতে পারেন নিজেদের ভোটটি।
ভোট দেওয়ার নিয়ম বুঝিয়ে দেওয়া হল সাংসদদের।
বিজেডি ও শিবসেনা ছাড়া সকলেই ভোট দেবে।
সার দিয়ে দাঁড়িয়ে মোদীকে নমস্কার করলেন তেলুগু দেশমের সাংসদরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার এবং অনুরাগ ঠাকুর নিজেদের আসন ছেড়ে উঠে দলের সাংসদদের সঙ্গে কথা বলছেন।
জবাব দেওয়ার জন্য 30 মিনিট সময় চাইলেন তেলুগু দেশমের সাংসদরা।
"দুর্ধর্ষ বাগ্মিতা", মোদীর ভাষণ নিয়ে বললেন তেলুগু দেশমের কেসিনানি শ্রীনিবাস।
রাহুল গান্ধীর প্রতিটি বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করে দিলেন মোদী।
"কী সাংঘাতিক ঔদ্ধত্য", সোনিয়া গান্ধীর '272' সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে বললেন মোদী।
একঘন্টার বেশি সময় ধরে নিজের ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অটলবিহারী বাজপেয়ী তিনটে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- উত্তরাখন্ড, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড। মনমোহন সিংহের আমলে একটা রাজ্য ভাগ হয়ে যায়- অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হয় তেলেঙ্গানা। এবং, ওই সময়ের পরিস্থিতি পরিচালনা করার ভঙ্গি মোটেই ঠিক ছিল না তাঁদের।
মোদীর ভাষণের সময় সোনিয়া, রাহুল সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের অভিব্যক্তি।
নিজস্ব সংবাদদাতার প্রতিবেদন:- রাহুল গান্ধী কোনও নোট ছাড়াই বক্তব্য পেশ করলেও, মোদী তাঁর বক্তব্যের বেশিরভাগটাই নোট দেখেই পড়লেন।
অন্যদিকে, 'আমুল' লোকসভার ওই বিখ্যাত আলিঙ্গন মুহূর্ত নিয়ে বানিয়ে ফেলল বিজ্ঞাপন।
"নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মোরারজি দেশাই, জয়প্রকাশ নারায়ণ, চৌধুরী চরণ সিংহ, সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল, চন্দ্রশেখর, প্রণব মুখোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার সকলেই ওঁদের চোখের দিকে চোখ তুলে তাকাতে চেয়েছিলেন। ভারতবাসী জানে, কীভাবে তাঁদের অপমান করা হয়েছিল", বলেন মোদী।
তাঁর চোখের দিকে মোদী তাকাতে পারবেন না বেল রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জবাবে মোদী বললেন, "আজ, উনি বললেন, আমি ওঁর চোখের দিকে তাকাতে পারব না। কী করে আমি ওঁর চোখের দিকে তাকাব? আমি তো এক দরিদ্র মায়ের সন্তান। কী করে তাকাব ওঁর চোখের দিকে"? বলেন মোদী।
'জুমলা স্ট্রাইক'এর ব্যাপারে মোদীর প্রতিক্রিয়া:-
আপনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে 'জুমলা স্ট্রাইক' বলছেন? এটা একেবারেই অনভিপ্রেত। আমাকে অপমান করতে হলে করুন। কিন্তু, এই কথার মাধ্যমে তো আপনি আমাদের দেশের সেনাকে অপমান করছেন।
ডোকলাম নিয়ে মোদীর প্রতিক্রিয়া:- ওঁরা (কংগ্রেস) ডোকলাম নিয়ে অনেক কথা বললেন। সাধারণত, আমরা এমন কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলি না, যা আপনাদের অবগত নয়। ভারত ডোকলাম নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা বলেছিল। এবং, জানতে চেয়েছিল, ওই এলাকায় বিদেশি শক্তির হাত কি এতটাই গুরুতর ? শিশুদের মতো হাবভাব দেখিয়ে কি সব জায়গায় পার পাওয়া যায়?
মোদীর ছোঁড়া একের পর প্রশ্নবাণের উত্তরে কংগ্রেস বেঞ্চ নিশ্চুপ।
অনাস্থা নিয়ে মোদীর তীব্র প্রতিক্রিয়া:-
"আপনারা যদি বিতর্কের জন্যে প্রস্তুতই না থাকেন, তাহলে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন কেন? সরকারকে ফেলে দেওয়ার এত তাড়াহুড়ো আপনাদের মধ্যে কেন? এটা না করলে কি মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ত নাকি ভূমিকম্প হত"?, আক্রমণ অব্যাহত মোদীর।
"ক্ষমতা পাওয়ার জন্য এত তীব্র অভীপ্সা কেন"? রাহুলকে আক্রমণ মোদীর।
রাহুলের আলিঙ্গনের কয়েকঘন্টা পরেই তীব্র আক্রমণে মোদী বিঁধে ফেললেন রাহুল ও তাঁর দলকে।
তেলুগু দেশম পার্টির বিক্ষুব্ধ সাংসদরা বলছেন, "আমরা বিচার চাই"। তাঁদের শোরগোল থামছে না।
তেলুগু দেশমের নেতাদের শোরগোলের মধ্য দিয়েও নিজের কথাটি বলে চলেছেন মোদী। তিনি বলেন, "আমরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের মাথার ওপর 125 কোটি ভারতীয়ের আশীর্বাদ রয়েছে"।
তেলুগু দেশমের নেতারা বক্তব্যে বাধা সৃষ্টি করছেন। তৃণমূলও প্রশ্ন করছে তাঁদের।
মোদী বক্তব্য শুরু করতেই লোকসভায় শোরগোল।
লোকসভায় মোদীর প্রতিক্রিয়া:-
আমি কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ করছি, যদি আপনারা বুঝতে পারেন যে কারা আপনাদের সঙ্গে আছে, তাহলে এগিয়ে চলুন। কিন্তু, দয়া করে অনাস্থা ভোটের দোহাই দেবেন না।
আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি, কারণ আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরা এখানে 125 কোটি ভারতীয়ের প্রতিনিধি হিসাবে দাঁড়িয়ে আছি।
মন দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনছেন রাহুল গান্ধী।
মোদীর ভাষণের সময় উল্লাসপ্রকাশ করছেন বিজেপি সাংসদরা।
লোকসভায় মোদীর প্রতিক্রিয়া:-
অনাস্থা প্রস্তাবটি হয়তো তেলুগু দেশম পার্টির পক্ষ থেকে এসেছিল, কিন্তু, তাঁদের সমর্থন করেছে অনেকে। বিরোধিতা করেছে আরও বেশি।
আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি, এই প্রস্তাবকে নাকচ করুন আপনারা।
সবার মুখোশ খুলে যাবে আজ।
অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের কথা এর আগে তোলা হয়নি কেন?
তাঁদের তো সাংসদই ছিল না, কী করে প্রশ্ন তুলবেন তাঁরা?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী:-
অনাস্থা ভোট সংবিধানের ক্ষমতাকেই তুলে ধরে।
নিজের ভাষণ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজের ভাষণ দেওয়ার জন্য উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছেন।
তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী এখন বক্তব্য রাখছেন।
রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ নিয়ে ফ্রান্সের বক্তব্য শুনে রাহুল বললেন: ওই বৈঠকে ফরাসি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমি একাই ছিলাম না। মনমোহন সিংহ এবং আনন্দ শর্মাও ছিলেন।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, 'ফ্রান্সের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও চুক্তি নেই ভারতের' বিষয়ে ফ্রান্স জানাল, চুক্তি আছে। 2008 সালেই চুক্তি হয়েছিল।
রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল গান্ধীর আক্রমণ নিয়ে ফ্রান্স বলল, নিরাপত্তার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া নিয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
আমাদের বলা হচ্ছে, সংসদের বিতর্ক চলবে রাত ন'টা অথবা দশটা পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বলতে উঠবেন রাত আটটা নাগাদ।
No-Confidence Motion 2003 বনাম 2008 - এক নজরে
"আজ কী নিয়েছেন আপনি"? হরসিমরত কৌর জানতে চাইলেন রাহুলের কাছে।
"আপনার বক্তব্যের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে খারগেজি। আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না", বললেন সুমিত্রা মহাজন
কঠোরতম ভাষায় বিজেপির দাবির বিরোধিতা করলেন মল্লিকার্জুন খারগে।
এখন ভাষণ দিচ্ছেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খারগে। তাঁর পিছনের আসনেই বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধীকে। তাঁর চোখ টেপা ও আলিঙ্গন পর্বের পর বেশ খানিকক্ষণ লোকসভার কক্ষে দেখা যায়নি রাহুলকে।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলেন বিজেপির প্রহ্লাদ জোশি। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, রাফাল চুক্তি নিয়ে রাহুল গান্ধী ভিত্তিহীনভাবে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
লোকজনশক্তি পার্টির নেতা রামবিলাস পাসোয়ানের পিছনে কয়েকটি খালি আসন দেখা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন আগেই বলে দিয়েছিলেন যে, আজ মধ্যাহ্নভোজের বিরতি হবে না।
নিজস্ব সংবাদদাতার বয়ান:- অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর, কয়েকজন সাংসদ ভূমিকম্প হয়েছে বলে রসিকতা করে সবাইকে ভবন খালি করে দিতে বলেন।
লোকজনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসওয়ান তাঁর বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র আদিল সিংহ বোপারাই এনডিটিভিতে বলেন, "আমরা আজ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং ভোট অবধি লোকসভায় থাকব"।
জাতীয়তাবদী কংগ্রেস পার্টির তারিক আনোয়ার বলতে উঠলেন।
লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজনের বক্তব্যে অনেকেই আজ 'মায়ের ছায়া' খুঁজে পেয়েছেন।। "রাহুলজি আমার সন্তানসম", বলেছেন তিনি।
"তিনি খুব গুরুতরভাবে নিজের মাতৃসত্তাকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন আজ লোকসভা ভবনে", সাংবাদিক স্মিতা প্রকাশ বলেন এনডিটিভিকে।
জাতীয়তাবদী কংগ্রেস পার্টির তারিক আনোয়ার বলতে উঠলেন।
রাজনাথ বললেন, "জনরোষের সবথেকে বড় ঘটনা এই দেশে ঘটেছিল 1984 সালে"।
"এই সভা শেষ হওয়ার পর আমি আর 'খারগে'জি'(মল্লিকার্জুন খারগে)ও একে অপরকে জড়িয়ে ধরব", রাজনাথ সিংহের রসিকতায় সভায় হাসির রোল ওঠে।
আমি কাউকেই আলিঙ্গন করার জন্য বাধা দিচ্ছি না। আমি তো নিজেও একজন মা: সুমিত্রা মহাজন
রাহুল গান্ধীর আলিঙ্গন নিয়ে ক্ষুব্ধ লোকসভার অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, "এই সংসদ ভবনের কিছু নিয়ম আছে। সবাই তা মেনে চলবেন বলেই আশা করি। আমি ওঁর এই ভঙ্গিটি পছন্দ করিনি একদমই। ওই সময় উনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন"।
দিনের সেরা মুহূর্তকেই হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি।
বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত।
আইসিওয়াইএমআই:- এক ঘন্টার ভাষন শেষে রাহুল গান্ধীর চোখ টেপা এবং মোদীকে আলিঙ্গন করা। তাঁর পিছনের আসনে বসে থাকা সাংসদদের প্রতিক্রিয়া। তাঁর বক্তব্যের পুরোটা সময় জুড়ে কংগ্রেসের সাংসদরা উল্লাস ও্রকাশ করে গিয়েছেন।
via GIPHY
বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ রাজনাথের। ওঁদের জোটের নেতৃত্বে কে থাকবেন যদি প্রশ্ন করি, তাহলে তো তার উত্তর দিতে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়বে!
রাজনাথ বললেন, "বহুকাল আগে ওঁদের স্লোগান ছিল, - হাম দো, হামারে দো। আজ প্রায় তিন দশক বাদে এসে বিজেপিকে রোখার জন্য ওঁদের সবার সঙ্গে মিলিতভাবে লড়তে হবে"।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কে চন্দ্রশেখর রাও অনাস্থা ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বিজেপির অনন্ত কুমার সাংবাদিকদের বলেন, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুলবে বিজেপি।
পুত্রগর্বে গর্বিত মা সোনিয়া গান্ধী। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ছেলের ভাষণ শুনে একইসঙ্গে আনন্দিত ও মুগ্ধ। তিনি আরও বলেন, "আমার এটা ভেবে ভালোলাগছে যে, সংবাদমাধ্যমও বদলাচ্ছে"। আলিঙ্গনের ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য, "ভাগ্যিস, এই সৌজন্যকে অ-সংসদীয় ভাবা হয়নি"।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের সময়টি খানিকটা পিছিয়ে গেল। সন্ধে ছ'টা নাগাদ শুরু হবে সেটি।
মূলায়ম সিংহ যাদবঃ এই সরকারের আমলে দেশের এমন একজন সাদারণ মানুষও নেই, যিনি কষ্ট পাননি, দুঃখ পাননি। বিজেপির নিজেদের কর্মী-সমর্থকরাও কষ্ট পেয়েছেন। দুঃখ পেয়েছেন। যে প্রতিশ্রুতিগুলো মোদী দিয়েছিলেন- 15 লক্ষ টাকা, 2 কোটি কর্মসংস্থান, ক'টা প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছেন তিনি? একটা প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেননি মোদী।
সমাজবাদী পার্টির নেতা মূলায়ম সিংহ যাদব বলতে উঠলেন।
অনাস্তা প্রস্তাবের সময় যে যে সমস্যাগুলি তুলে ধরলেন রাহুল গান্ধীঃ
রাফাল চুক্তি নিয়ে মোদীকে তীব্র আক্রমণ রাহুলের।
"জুমলা স্ট্রাইক" নিয়েও তীব্র আকর্মণ করেন তিনি বিজেপিকে।
তাঁর ক্ষুরধার বক্তৃতায় বিজেপি সাংসদরা বাধা সৃষ্টি করলে কয়েক মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত রাখেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে শশী থারুর বললেন, "কী অসামান্য বক্তব্য রাখলেন রাহুল গান্ধী। পুরো খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার বক্তৃতা ছিল এটি। সরকারের সমস্ত দাবিকে ধূলিসাৎ করে দিলেন উনি। আর, শেষের ওই অভাবনীয় আলিঙ্গন। বিজেপির শ্বাসরোধ করে দিয়েছে নিশ্চিতভাবেই।
নির্মলা সীতারামন বললেন এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল যখন, তখন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন এ কে অ্যান্টনি।
রক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সিথারামান বক্তব্য রাখছেন
একটু আগেই যখন আমি সংসদের বাইরে গেলাম, আপনার দলের কর্মীরাই আমার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলে গেলেন, দারুণ বক্তৃতা দিয়েছেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জড়িয়ে ধরলেন রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের মাঝে বাধা দিয়ে বিজেপির অনন্ত কুমার বলেন, উনি যে দিকগুলি বক্তব্যে তুলে ধরছেন, তা অপমানজনক।
"উনি আমার চোখের দিকে তাকাতে পারবেন না", বললেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী বললেন রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে দেশবাসীকে মিথ্যা কথা বলেছেন নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর চাপে নির্মলা সীতারামন দেশবাসীকে মিথ্যা বলেছেন। আপনি কাকে সাহায্য করছেন, নির্মলাজি? আমাদের বলুন"।
রাফালযুদ্ধবিমানচুক্তিনিয়েমিথ্যাবলেছেননির্মলাসীতারামন, বললেনরাহুলগান্ধী।
রাহুলগান্ধীরবক্তব্যচলাকালীনঅনন্তকুমারসহঅন্যান্যবিজেপিনেতাদেরপ্রবলচিৎকার।
তাঁরবিদেশসফরনিয়েরাহুলগান্ধীবলতেশুরুকরারপরনরেন্দ্রমোদীরপ্রতিক্রিয়া। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য চলাকালীন অনন্ত কুমার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের প্রবল চিৎকার।
রাহুল গান্ধী: মোদীজি বেরিয়ে গেলেন... তিনি ওবামা আর ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে গেলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নই। আমি আপনাদের প্রহরী।
রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা সকলেই বিজেপির 'জুমলা স্ট্রাইক'এর শিকার।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বললেন, "আমি অত্যন্ত মন দিয়ে জয়দেব গাল্লার বক্তৃতা শুনলাম। শুনতে শুনতে আমার খুব খারাপ লাগছিল। আমি মর্মাহত। আমি আপনাকে বলতে চাই, আপনি হলেন একবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক অস্ত্র। চমৎকার রাজনৈতিক অস্ত্র।
অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে বিজেপির প্রথম প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেস আর ডিএমকে'র মস্তিষ্কপ্রসূত এই অনাস্থা প্রস্তাব। এআইএডিএমকে তাই এই প্রস্তাবকে সমর্থন করবে না বলে জানিয়ে দিলেন তাঁদের এক নেতা।
পরবর্তী বক্তা সম্ভবত রাহুল গান্ধী।
তেলুগু দেশমের সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহার করায় লোকসভায় তীব্র বাদানুবাদ শুরু হল।
সংসদের অদূরেই কৃষকসভার বিক্ষোভ।
অনাস্থা প্রস্তাবের মূল কারিগর তেলুগু দেশম পার্টি, এই প্রস্তাবকে তাদের 'ধর্মযুদ্ধ' বলে ঘোষণা করল।
অনাস্থাপ্রস্তাবেরবিরুদ্ধেবিজেপিরহয়েপ্রথমতোপদাগলেনরাকেশসিংহ।তিনিবললেন, "আমিএতক্ষণধরেমনদিয়েজয়দেবগাল্লারকথাশুনছিলাম।যেবিলটিনিয়েতিনিউষ্মাপ্রকাশকরলেন, তাতোকংগ্রেসআমলেপাশহয়েছিল"।
"আমরাসরকারেরসঙ্গেইআছি", জানালেনবিহারেরমুখ্যমন্ত্রীনীতিশকুমার।
তেলুগু দেশমের সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপশ্ব্দ ব্যবহার করায় লোকসভায় তীব্র বাদানুবাদ শুরু হল।
বিজেপির প্রথম বক্তা রাকেশ সিংহ বললেন, "অন্য দলগুলির সঙ্গে লড়াই করা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হল সবাই মিলে এককাট্টাভাবে থেকে দেশের সংবিধানকে শক্তিশালী করা"।
বক্তব্য পেশ করতে শুরু করলেন বিজেপির রাকেশ সিংহ।
সাংসদের বাইরে কৃষকসভার বিক্ষোভ।
"আমরা সরকারের সঙ্গে আছি", বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
কথা বলার জন্য আরও 10 মিনিট সময় চেয়ে নিলেন জয়দেব গাল্লা।
সকাল থেকে যা হল, তার দিকে একবার ঝট করে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক:
মোদীর টুইট, "গোটা দেশ আমাদের দেখবে আজ"।
অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নীতিন গড়কড়ি ও সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা মোদীর।
শিবসেনার সাংসদরা অনাস্থা ভোটএ অংশ নেবেন না বলে জানালেন।
সাংসদ অধিবেশন শুরু হল
সাংসদে উপস্থিত হলেন রাহুল গান্ধী।
শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের এক ঘনিষ্ঠ সংবাদসংস্তা পিটিআইকে জানান, "অনাস্থা ভোটে উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনার সাংসদদের যোগ দিতে নিষেধ করেছেন"।
জয়দেব গাল্লা: অন্ধ্রপ্রদেশকে বঞ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী মহাশয়, আপনি সবাইকে সবসময় বোকা বানাতে পারবেন না।
বিজেপির সম্বিত পাত্র টুইট করে খণ্ডন করলেন তেলুগু দেশমের জয়দেব গাল্লার যুক্তি।
বহু বিষয়ে বিরোধী পক্ষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করে।
তেলুগু দেশমের এক সাংসদ জয়দেব গাল্লার পিছনে দাঁড়িয়ে তিরুপতির বালাজির প্রতিকৃতি তুলে ধরলেন।
সাংসদে উপস্থিত হলেন রাহুল গান্ধী।