হাইলাইটস
- কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের একটি বুথে আজ পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে
- কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের ২০০ নম্বর বুথে আজ আবার ভোট হচ্ছে
- নির্বাচনী আধিকারিকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন করে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত
কলকাতা: কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের (Kolkata North Loksabha Constituency) একটি বুথে আজ পুনর্নির্বাচন (Re Polling) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের ২০০ নম্বর বুথে আজ আবার ভোট হচ্ছে। সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের এক নম্বর ঘরে সকাল সাতটা থেকে ভোট পর্ব শুরু হয়েছে। নির্বাচনের (General Election 2019) দিন কয়েকটি ঘটনা এই বুথে ঘটেছিল। তারপরই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিকদের (Poll Officials) রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন করে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । গত রবিবার রাজ্যের ন'টি কেন্দ্রে ভোট হয়। এর মধ্যে কলকাতা ছিল দুটি লোকসভা কেন্দ্র। পাশাপাশি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) কয়েকটি জায়গাতেও ভোট হয়। সেদিন এই বুথে কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তারপরই নতুন করে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের তরফে বিষয়টিকে গতকাল থেকেই প্রচার করা হতে থাকে।
গুপ্তচর উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ হল,মেঘ থাকলেও নিজের কাজ করবে রিস্যাট
শেষ দফার নির্বাচনেও রাজ্যে কয়েকটি অশান্তির খবর মিলেছে। কোথাও বিরোধী এজেন্ট মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কোথাও আবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সেদিন ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। সেখানে ব্যাপক অশান্তি হয়। সেই ঘটনার রেশ এখনও বজায় আছে। ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। পাল্টা ভাটপাড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতারা। কমিশনেও অভিযোগ করে তৃণমূল। ব্যবস্থা না হলেও সত্যাগ্রহ শুরু করার ডাক দেন ভাটপাড়ারা তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
বাংলায় কি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে? কমিশনের কাছে প্রশ্ন তৃণমূলের
সবমিলিয়ে ভোট পর্ব মিটলে গোলমাল থেমে যায়নি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ বিভিন্ন জেলায় গোলমাল হচ্ছে। এমতাবস্থায় ভোট করাতে আসা বাহিনী রাজ্যে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি পেশ করেছেন। তিনি জানান রাজ্যের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই গণনা পর্যন্ত বাহিনী রেখে দিতে হবে। এরই পাল্টা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূলের দাবি পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। বাংলার জন্য আলাদা নিয়ম কেন সে প্রশ্নও তোলেন ডেরেক।