সোমবার কোচবিহারে বিশাল জনসভা করবেন মমতা। (ফাইল চিত্র)
নিউ দিল্লি: দেশ তথা রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেবেন, এমনটা কষ্টকল্পনাতেও আনা যায় না। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানেই কোচবিহারে দলের সমর্থক ও কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদী ও মমতা। তাঁদের যে ভাষণ দেওয়ার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, তার দূরত্ব মাত্র ৩০ মিটার! প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী রবিবার ভাষণ দিতে আসছেন কোচবিহারে। মমতার সভা সোমবার। আর এই মঞ্চবাঁধা নিয়েই শুরু হয়ে গেল দু'পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার! জেলার সবথেকে বড় জনসভার স্থান রাসমেলা মাঠে তৃণমূলের মঞ্চ বাঁধা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি'র কৈলাশ বিজয়বর্গীয় রীতিমত হুমকি দেন যে, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই মঞ্চ ভেঙে না ফেললে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
মোদীর স্পিড ব্রেকার দিদি মন্তব্যের পালটা দিতে তৃণমূলের হাতিয়ার এই তিনটি শব্দ
অন্যদিকে, তৃণমূল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। কারণ, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ শেষ হওয়ার পরদিনই মমতার সভা। তাই এত অল্পসময়ের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে ফের একটি বড় মঞ্চ প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না।
প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে এবং যে ভিআইপি জোনটি রয়েছে, তা তৃণমূল ব্যারিকেড করে রাখতে পারবে। তবে, সোমবারের জনসমাবেশে আসা মানুষদের ব্যারিকেডের জন্য যে বাঁশ পোঁতা হচ্ছিল, তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
খোদ কলকাতার রাস্তায় মমতার নাম লেখা হল চিনা ভাষায়
বিজেপিকে মঞ্চ বাঁধার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের এই মঞ্চের ফলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা এবং মোদীর সভায় আসা মানুষদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই তারা কিছুতেই তৃণমূল কে মঞ্চ বাঁধতে দেবে না।
কী হবে শেষমেশ, তা জানার অপেক্ষাতেই রয়েছেন এখন রাজ্যবাসীরা।