Read in English
This Article is From May 15, 2019

মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

তাঁর ভোট-প্রচার প্রক্রিয়ার অংশ থাকার কোনও নৈতিক যোগ্যতা নেই। নিজেদের দাবি  সামনে রেখে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে  যায়  বিজেপি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

অমিত শাহর রোড শো ঘিরে বেনজির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতায়।

Highlights

  • মমতাকে প্রচার প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার দাবি জানাল বিজেপি
  • বিজেপির দাবি সাংবিধানিক পদে থেকেও অসাংবিধানিক মন্তব্য করে চলেছেন মমতা
  • হিংসার মাধ্যমে দলের কর্মী-সমর্থকদের বদলা নেওয়া নিদান নিচ্ছেনঃ বিজেপি
নিউ দিল্লি :

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Bengal CM) নির্বাচনের  প্রচার প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার দাবি তুলল বিজেপি। বিজেপির দাবি সাংবিধানিক পদে থেকেও অসাংবিধানিক মন্তব্য করে চলেছেন মমতা এবং সরাসরি হিংসার মাধ্যমে নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের বদলা নেওয়া নিদান নিচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় তাঁর ভোট-প্রচার প্রক্রিয়ার অংশ থাকার কোনও নৈতিক যোগ্যতা নেই। নিজেদের দাবি  সামনে রেখে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে  (Election Commission) যায়  বিজেপি। প্রতিনিধি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) থেকে শুরু করে মুক্তার আব্বাস নকভি সহ আরও কয়েকজন। পরে নকভি  বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদের অপব্যবহার করছেন। তৃণমূল কর্মীদের হিংসায় উন্মত্ত হতে উৎসাহ দিচ্ছেন। সাংবিধানিক পদে বসে অসাংবিধানিক মন্তব্য করছেন তিনি।  এক্ষুনি নির্বাচনের প্রচার প্রক্রিয়ার থেকে তাঁকে বাইরে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য। তৃণমূলের গুন্ডারা পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে হাইজ্যাক করেছে। আর  তাই এখন বাংলায় প্রশাসনকে পাশে নিয়েই সন্ত্রাস হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ: মমতা

 পাশাপাশি তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে।কমিশনের ভূমিকাও বেশ খারাপ।  পরিস্থিতি এমন যে কমিশনের গ্রহন যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বাংলার পরিস্থিতি ২০০৪- ২০০৫ সালের বিহারের অবস্থার মতো বলে  মন্তব্য করে তিনি বলেন বিহারে একজন বিশেষ নির্বাচনী আধিকারিক কে পাঠিয়ে পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোনও করে কিছুই করা যাচ্ছে  না।    

 শহরে অমিত শাহের রোড শো, ধ্বনিত হল ‘জয় শ্রীরাম' স্লোগান

Advertisement

এদিকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোড শো ঘিরে বেনজির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতায়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত কলেজে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে। পাল্টা বিজেপির দাবি হামলা চালিয়েছে তৃণমূল এবং মূর্তি ভাঙ্গার নেপথ্যেও তারাই আছে।  বিদ্যাসাগর কলেজের পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও গোলমাল হয়েছে। সে কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন শাহ (বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ) কি জানেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য কী?  তিনি জানেন কারা কারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন? এরকম আক্রমণ সংগঠিত করার জন্য তাঁর লজ্জিত হওয়া উচিত।  

Advertisement