মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের (Amit Shah) রোড চলাকালীন হিংসার ঘটনার পর, রাজ্যে শেষ দফার ভোটপ্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রচারপর্ব শেষ করতে হবে জানিয়ে দিল কমিশন। এই প্রথমবার সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা (Article 324) প্রয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। এই ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে “পরিচালনা, নির্দেশ দেওয়া এবং ভোট নিয়্ন্ত্রণ করার” ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ১৯ মে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। শেষ দফায় রাজ্যের ৯ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। কমিশন জানিয়ে দেয়, অশান্তির কারণে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে রাজ্যের প্রচারপর্ব শেষ করতে হবে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় শেষ দফার ভোটপ্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি দুই অফিসার স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব এবং সিআইডির এডিজিকে অপসারনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)।
বাংলায় আমি বহিরাগত নই, দিল্লি গেলে দিদি বহিরাগত হয়ে যাবেন নাকি? অমিত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা (Vidyasaga Statue vandalizing) নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজপির রাজনৈতিক লড়াই চরমে ওঠে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।
নির্বাচন কমিশনের কথায়, “মূর্তি ভাঙায় খুবই দুঃখিত”। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “একজন দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, লেখক, মানবদরদী, মানুষ সারা জীবন কাজ করে গেছেন বিধবা বিবাহের মতো প্রথা নিয়ে যা তৎকালীন গোঁড়া রক্ষণশীল সমাজে ভাবাই যেত না”।
বুধবারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং তাঁর রোড শোয়ে হামলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করেন তিনি। বিষয়টিকে “ষড়যন্ত্র” বলে মন্তব্য করেন বিজেপি সভাপতি। ট্যুইট করে বিজেপি সভাপতিকে “ধোঁকাবাজ” এবং “নিম্নরুচির” বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। একটি ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) কাছে অভিযোগ করেন ডেরেক ও ব্রায়েন।
লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Elections 2019) রাজ্যের ৪২ আসনে ভোটগ্রহণ। প্রতিটি দফাতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার খবর এসেছে।