Lok sabha Elections 2019: শেষ দফার ভোটপ্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন
হাইলাইটস
- প্রচারের সময় কমানোয় কমিশন, লজ্জাজনক পদক্ষেপ দাবি কংগ্রেসের
- কমিশন নিজের নিরপেক্ষতা পরিত্যাগ করেছে দাবি কংগ্রেস মুখপাত্রর
- একটি নিরপেক্ষ সংস্থার এই অবস্থান বদল লজ্জা জনকঃ কংগ্রেস মুখপাত্র
নিউ দিল্লি: সন্ত্রাসের জন্য প্রচারের সময় কমানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সমালোচনা করল কংগ্রেস। দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা (Ran) বলেন, আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। পশ্চিমবঙ্গের জন্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সংবিধানের রীতিনীতির (Constitutional Norms ) বিরোধী। তিনি বলেন, কমিশন নিজের নিরপেক্ষতা পরিত্যাগ করেছে। তাই শুধু কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কংগ্রেসও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi ) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর (BJP Chief Amit Shah) বিরুদ্ধে আমরা ১১টি অভিযোগ করেছি। কিন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে ১৬ তারিখ আর কেউ সভার অনুমতি পাচ্ছেন না কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে। এক সময় নির্বাচন কমিশন দেশের একটি নিরপেক্ষ সংস্থা ছিল। তার এই অবস্থান বদল লজ্জা জনক।
“নির্বাচন কমিশনের জন্য দুঃখ হয়” প্রচারের সময় কমানো নিয়ে বললেন মমতা
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোড চলাকালীন হিংসার ঘটনার পর, রাজ্যে শেষ দফার ভোটপ্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। জানায় বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রচারপর্ব শেষ করতে হবে জানিয়ে দিল কমিশন। এই প্রথমবার সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা (Article 324) প্রয়োগ করল কমিশন। এই ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে “পরিচালনা, নির্দেশ দেওয়া এবং ভোট নিয়্ন্ত্রণ করার” ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ১৯ মে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। শেষ দফায় রাজ্যের ৯ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। কমিশন জানিয়ে দেয়, অশান্তির কারণে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে রাজ্যের প্রচারপর্ব শেষ করতে হবে। আগে ঠিক ছিল শুক্রবার বিকেল ৫টায় শেষ দফার ভোটপ্রচার শেষ হবে । পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব এবং সিআইডির এডিজিকে অপসারনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এরই মধ্যে আজ ফের রাজ্যে আসছেন মোদী। দমদম এবং লক্ষ্মীকান্ত পুরে সভা করেবন তিনি।