বামেদের অভিযোগ প্রথম দফার ভোটে ব্যাপক রিগিং হয়েছে।
নিউ দিল্লি: ত্রিপুরা পশ্চিম (Tripura West ) লোকসভা কেন্দ্রের ৪৬৪ টি বুথে পুননির্বাচনের (Re election) দাবি জানাল বামেরা। উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে দুটি লোকসভা কেন্দ্র আছে। তার একটিতে ভোট হয়ে গিয়েছে প্রথম দফায়। অন্যটিতে ভোট হবে ১৮ তারিখ। বামেদের অভিযোগ প্রথম দফার ভোটে ব্যাপক রিগিং হয়েছে। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বিভিন্ন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে অবাধে লুঠ চালান হয়েছে। এমনকী বুথের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যন্ত প্রার্থীকে দেওয়া হয়নি। তাঁর আশঙ্কা অপরাধ ঢাকতে সিসিটিভি ফুটেজও বিকৃত করা হয়েছে। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বামেরা। প্রথম দফার ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আগামী ১৮ তারিখ ত্রিপুরা পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান হয়েছে।
সামান্য বচসার জের, তিনজনকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল এক নাবালক
কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের জানান তাঁরা চান ৪৬৪টি বুথে আবার ভোট নেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে নানা ধরনের গোলমাল হয়েছিল। বাম প্রার্থীর এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ভোটার কাকে ভোট দিতে চান সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিতে রাজি হননি তাঁদের লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই ভোট হয়েছে বলে তাঁর দাবি। একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, সময়সীমা শেষ হওয়ার দু ঘণ্টা আগে পর্যন্ত ভোট পড়েছিল প্রায় ৫৩ শতাংশ। কিন্তু শেষে দেখা যায় প্রদত্ত ভোটের পরিমাণ প্রায় ৮০ শতাংশ। এই বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে বাম নেতাদের।
এদিন ইয়েচুরির সঙ্গেই কমিশনে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা নীলোৎপল দত্ত। তাঁর অভিযোগ শুধু ত্রিপুরা নয় পশ্চিমবঙ্গেও ভোটের দিন গোলমাল হয়েছে। ত্রিপুরা পশ্চিমের বাম প্রার্থী শঙ্কর প্রসাদ দত্ত বলেন, নির্বাচনের প্রচার চলাকালীনই গোলমাল শুরু হয়। আমাকে সাত বার আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। ভোটের দিনও অবাধে সন্ত্রাস চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ।
(সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে )