কমিশন এবং রাজ্যের শাসক দলের এই সংঘাতের শুরু হয়েছে আগেই।
হাইলাইটস
- কোচবিহারের এসপি বদল নিয়ে কমিশনকে বিঁধল তৃণমূল
- কমিশনকে চিঠি দিলেন দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ‘ও ব্রায়েন
- বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি
কলকাতা: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Elections 2019) শুরুর মাত্র দুদিন আগে কোচবিহারের এসপিকে (SP) সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিল বাংলার শাসক দল। কমিশনকে চিঠি দিলেন দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ‘ও ব্রায়েন (Derek O Brien)। জানা গিয়েছে চিঠিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। গত রবিবার কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় মুকুল বলেন, জেলার এসপি অভিষেক গুপ্ত ঠিক ভাবে কাজ করছেন না। তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। এর দিন দুয়েকের মধ্যেই কমিশন তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আসেন অমিত কুমার সিং। এরপরই চিঠি লেখেন ডেরেক। সেই চিঠিতে কী আছে তার সন্ধান পেয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ডেরেক লিখেছেন এই সিদ্ধান্ত অপ্রাসঙ্গিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা তাঁর (মুকুল) নির্দেশে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে তাড়াতে সবথেকে বড় ভূমিকা নেবে তৃণমূল: মমতা
অন্যদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন কমিশন ঠিক কাজ করেছে। উনি পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছিল। কিন্তু উনি কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছিলেন না । আসলে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিত্যে চাইছিলেন।
কমিশন এবং রাজ্যের শাসক দলের এই সংঘাতের শুরু হয়েছে আগেই। মাত্র তিনদিন আগেই কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা সহ রাজ্য পুলিশের তিন পদস্থ কর্তাকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং নির্বাচনী দায়িত্ব থেকেও রেহাই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
কলকাতার কমিশনার অনুজ শর্মা ছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন বিধাননগর পুলিশের কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং। বীরভূমের সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ শ্যাম সিং এবং ডায়মন্ড হারবারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ এস সেলভামুরুগান। সেবার কমিশনকে চিঠি লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও কমিশনের উদ্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাল্টা কমিশন বলে তাঁর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। পরিস্থিতি বুঝে যা ভাল মনে হয়েছে কমিশন সেটাই করেছে।