Read in English
This Article is From May 13, 2019

ভোট মিটতেই অপসারিত বাঁকুড়ার জেলা শাসক

ষষ্ঠ দফায় রবিবার রাজ্যের অন্য কয়েকটি আসনের সঙ্গে বাঁকুড়ার দুটি আসনেও ভোট নেওয়া  হয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ভোট পর্বে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

Highlights

  • বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমা শঙ্করকে পদ থেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
  • উমা শঙ্কররে জায়গায় নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন মুক্তা আর্য
  • সকাল ১০টার মধ্যে বাঁকুড়া গিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন
কলকাতা:

ভোট  পর্ব শেষ হয় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমা শঙ্করকে ( District Magistrate of  Bankura ) পদ থেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । উমা শঙ্কররে জায়গায় নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন মুক্তা আর্য। আজ সকাল ১০টার মধ্যে বাঁকুড়া গিয়ে তাঁকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ষষ্ঠ দফায় রবিবার রাজ্যের অন্য কয়েকটি আসনের সঙ্গে বাঁকুড়ার দুটি আসনেও ভোট নেওয়া  হয়েছে। তাতে  বিক্ষিপ্ত হলেও কয়েকটি হিংসার খবর মিলেছে। বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার দাবি করেছেন তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরকমই আরও নানা ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার নানা  প্রান্তে।  

হয়নি রাস্তা, প্রতিবাদে ভোট বয়কট করল উত্তরপ্রদেশের এই গ্রাম

এরপরই উমা শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে সমস্যার সূত্রপাত কয়েকদিন আগেই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  এখানে সভা করতে আসেন। সেই সভার অনুমতি এবং হেলিকপ্টার নামা ওঠা সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। সেই ঘটনা প্রবাহে কমিশন তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়। শেষমেশ শঙ্করকে সরতে  হয়।

Advertisement

সাধারণভাবে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরও জেলাশাসকের কয়েকটি প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকে। তার মধ্যে প্রথমেই আসে ভোট পরবর্তী স্কুটনির বিষয়টি।  পদাধিকার বলে জেলাশাসকই জেলার রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন। কমিশনের প্রতিনিধি হয়ে নির্বাচনের কাজ করা  এবং  সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার থাকে তাঁর উপরেই। বাঁকুড়াতেও ভোট পরবর্তী কাজকর্ম হবে। নতুন জেলা শাসক হিসেবে সেই দায়িত্ব নিতে হবে মুক্তাকে।

 "মেয়ে বিজেপিতে আছে বলেই...:" বললেন মমতার ছবিকাণ্ডে অভিযুক্তের মা

Advertisement

এর আগেও ভোট পর্বে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ কর্তাদেরও সরানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে  কমিশনকে। শাসক দলের অভিযোগ বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই কাজ করছে কমিশন। তবে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বলে আসছে সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট করতে যা যা প্রয়োজন তাই করা  হচ্ছে।  ভোট পর্ব শুরুর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনকে কড়া চিঠিও লেখেন তিনি। জবাব দেয় কমিশন। সেই তখন থেকেই চলে  আসছে  সংঘাতের রেশ।      

(সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে )

Advertisement