কলকাতা: প্রথমে সিপিআইএম থেকে বহিষ্কার, তারপর বিজেপি থেকে বহিষ্কার। অবশেষে মাথার উপর ছাতা ধরল কংগ্রেস। সিপিআইএমের এককালের দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth) গতকাল যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামের মারাত্মক হিংসা ও কৃষকদের উপর গুলি চালানোর মূল অভিযুক্ত সিপিআইএম নেতা (Expelled CPI-M leader) লক্ষ্মণ শেঠকে বহিষ্কৃত করে দল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন এই নেতা।
বীরভূমে গরুর গাড়িতে চড়ে প্রচার দুধকুমারের, ই-রিকশাতে শতাব্দীর
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আক্রমণের পর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে (Nandigram 2007) মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পুরোধা সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে বহিষ্কার করা হয়। লক্ষ্মণ শেঠ অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিআইএমের নেতা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ‘স্বৈরতান্ত্রিক'।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন মিত্র বলেন, “আমরা কংগ্রেসে লক্ষ্মণকে স্বাগত জানাই এবং আমাদের দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তমলুক সংসদীয় আসন (Tamluk parliamentary seat) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন লক্ষ্ণণ শেঠ।" সিপিআইএমে থাকাকালীন তিনবার ওই আসন থেকে জয়ী হন তিনি।
জয়াপ্রদার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন সপা'র নেতা
সিপিআইএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরে, লক্ষ্ণণ শেঠ ভারত নির্মাণ পার্টি (Bharat Nirman Party) গঠন করেন, যা অবশ্য এই রাজ্যে কোনও প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়। ২০১৬ সালে গেরুয়া দলেও যোগ দেন লক্ষ্ণণ শেঠ, দল ২০১৮ সালে তাঁকে বহিষ্কার করে।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে পরিকল্পিতভাবে হিংসা ঘটানোর অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে লক্ষ্ণণ শেঠ ১১৮ দিন পুলিশ ও বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)