গুজব, "যোগীকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শান্তনু নিয়েছেন ১০ কোটি টাকা"।
কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ যে নির্বাচনী (Lok Sabha election) প্রচারে উপস্থিত থাকার জন্য বনগাঁ'তে উড়ে এসেছিলেন তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath), সেই প্রচারে উপস্থিত থাকতে পারলেন না প্রার্থী স্বয়ং। কারণটি আর কিছুই নয়, তাঁর পৈটিক গোলযোগ! এমনই অবস্থা হয়ে গেল যে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বেরোতেই পারলেন না। "সোমবার সকালে এমন ভয়াবহ পেটের সমস্যা এবং তার থেকে গ্যাসট্রিকের ব্যথা হয় যে, যোগীজির সভাতেও যেতে পারলেন না তিনি", বলেন শান্তনু ঠাকুরের গৃহচিকিৎসক তথা দলীয় সহকর্মী। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে নিজের অনুপস্থিতির জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "গত ১৯ তারিখ থেকেই পেটের সমস্যা চলছিল। গতকাল তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আমি সারাদিন বিছানা থেকে উঠতেই পারিনি। এই নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত না থাকতে না পারার জন্য আমার আক্ষেপ যাওয়ার নয়। আমি যোগীজিকে আমার সমস্যাটি খোলাখুলিভাবে জানাই এবং ক্ষমা চাই বারবার"।
কিন্তু সেই ক্ষমা চাওয়ায় কি কোনও কাজ হল আদৌ? প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথ তাঁর ১৫ মিনিটের বক্তৃতায় একটিবারের জন্যও শান্তনু ঠাকুরের নাম করেননি।
কেন নিজের মায়ের সঙ্গে থাকেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
এটিকে কেউ কেউ নেতিবাচক সংকেত মনে করছিলেন যখন, সেইসময়ই আরও নতুন একটি গুজব এসে একে পিছনের আসনে ঠেলে দেয়। সেই গুজবটি হল, "আরএসএস-এর সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের যোগ থাকার জন্য শান্তনু ঠাকুর তাঁকে এড়িয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নিয়েছেন ১০ কোটি টাকা"।
এত ভয়ানকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে যে, সোমবারের ঘটনার পর শান্তনু ঠাকুর নিজের চিকিৎসককে পাশে বসিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হন। ওই চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রেসক্রিপশনটিও দেখান।
এই গুজব এবং অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "বিজেপি বিরোধী অশুভ শক্তি এই কাজগুলি করে বেড়াচ্ছে। মানুষ সব দেখছে, বুঝছে। ওদের সব জবাব মানুষই দেবে ব্যালট বাক্সে। যোগী আদিত্যনাথ আজকের ভারতের নেতা। ভবিষ্যতের নেতা। আমাদের নেতা। আমার কি মাথাখারাপ নাকি যে তিনি সভা করতে আসবেন বলে আমি যাব না"?