সামান্য কিছু ভোট এদিক- ওদিক (Vote Swing) হলেই ঘটে যাবে বড় অদল বদল
হাইলাইটস
- দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে অনেক কিছু
- সামান্য কিছু ভোট এদিক- ওদিক হলেই ঘটে যাবে বড় অদল বদল
- বিজেপি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভোট পেলে তাদের আসন সংখ্যা হবে ৬০
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) ফলাফল প্রকাশের পর শেষ হাসি কে হাসতে চলেছে তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। এবার বিজেপি বিরোধী জোট হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সেটা একটি নির্ণায়ক বিষয় হতে পারে। তাছাড়া ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ (Vote Analysis) করলে দেখা যাবে সামান্য কিছু ভোট এদিক- ওদিক (Vote Swing) হলেই ঘটে যাবে বড় অদল বদল। অঙ্কের হিসেব বলছে ২০১৪ সালে জোট হলে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি ৪১টি আসনে জিততে পারত। এবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছে যেতে পারে ৫৪- তে। গতবার ৭১ টি আসন পাওয়া বিজেপির ফল খারাপ হতে পারে। আসন সংখ্যা কমে হতে পারে ২৩। অন্যদিকে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভোট যদি বিজেপির দিকে যায় তাহলেই তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হতে পারে ৬০। আর সেক্ষেত্রে এসপি এবং বিএসপি জোটকে ১৮ টি আসন পেয়েই খুশি থাকতে হবে।.
অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভোট যদি বিজেপির দিকে যায় তাহলেই তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হতে পারে ৬০।
সপা এবং বসপার মধ্যে নির্বাচনী বোঝাপড়া হওয়ায় গত বছর ফুলপুর, গোরক্ষপুর এবং কাইরানা লোকসভার উপ নির্বাচনে জেতে বিরোধীরা। ফুলপুর এবং গোরক্ষপুর কেন্দ্রে জোট ১০ শতাংশ বেশি ভোট পায়। কাইরানায় ৪ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে জেতেন জোট প্রার্থী। জোটের এই সাফল্য সপা এবং বসপাকে কয়েক দশক পুরনো শত্রুতা পরিত্যাগ করতে বাধ্য করে।
মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের জোট থেকে বাদ পড়া কংগ্রেস বেশির ভাগ আসনে একা লড়াই করছে।
তবে উপনির্বাচন দিয়ে সাধারণ নির্বাচনকে সব সময় ব্যাখ্যা করা যায় না। কংগ্রেস বলছে সাধারণ নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ বেশি থাকে। সেটা ফলাফল বদলে দিতে পারে। দলের নেতা প্রমোদ তিওয়ারি এনডিটিভিকে বলেছেন, উপনির্বাচন বলে অনেকে ভোট দিতে আসেননি। এবার তাঁরা আসবেন। আর যাঁরা ভোট দিয়েওছেন তাঁরা এবার অনেক বেশি উতসাহিত।