২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কেরলে, এই শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ দুর্যোগে ৪৮৩ জন মারা গিয়েছিল
কোচি: গত বছরের ভয়ঙ্করী বন্যার স্মৃতি এখনও দগদগে ঘা হয়ে আছে কেরলের মানুষের মনে। তাঁরা চান ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha polls) নির্বাচনী ইস্যুতে উঠে আসুক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও (climate change issues in the upcoming general election)। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে, এই শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ দুর্যোগে বন্যায় (devastating flood of Kerala) ৪৮৩ জন মারা গিয়েছিল। কেরল সরকারের মতে, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ছয়ভাগের এক ভাগ বন্যা ও সংশ্লিষ্ট ঘটনার দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়েছিল। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি হিসাবে রাজনৈতিক দলগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের (issue of climate change) বিষয়টি সামনে আনুক এমনটাই দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
বেগুসরাইয়ে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ‘আত্মসম্মানে লাগছে' গিরিরাজ সিংয়ের
কোচির একটি নেতৃস্থানীয় হাসপাতাল গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভ অরুণ কে নায়ার বলেন, “আমি আসন্ন নির্বাচনে প্রধান আলোচনার একটি বিষয় হিসাবে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো প্রয়োজনীয় বিষয় আসা উচিৎ এই বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।” তাঁর কথায়, “চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সর্বোত্তম জলবায়ু পরিস্থিতি উপভোগ করেছেন এমন একজন কেরলাবাসী হয়ে, দেশের অন্যান্য অংশে বন্যা দুর্গতদের অবস্থা আমার কাছে গল্পের মতো মনে হত। যখন নিজে গত বছর কেরলে বন্যা দেখলাম, বুঝলাম কতখানি মারাত্মক তা!”
মুম্বাইয়ে কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী হতে পারেন অভিনেত্রী উর্মিলা মাতন্ডকার
গত বছর জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কেরলে বন্যায় যা ক্ষতি হয়েছে, সবটা আবার আগের মতো করতে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজে রাজ্যের ৩১ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে! তিরুবনন্তপুরমের লেখক কে এস মানু বলেন, বন্যার সময় মানুষ রাজনীতিবিদদের অসমর্থতা বুঝতে পেরেছিল কারণ বেশিরভাগ পুনর্বাসনের কাজই করেছিলেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা। তিনি বলেন, “এই বন্যা একেবারেই মানুষের তৈরি। এক অদ্ভুত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই বন্যা হয় যাতে ঠিক করা হয়েছিল ২২ টিরও বেশি বাঁধ এক সঙ্গে খুলে দেওয়া হবে।"
তাঁর অভিযোগ, শবরীমালার আইয়াপ্পা মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশের মতো নতুন রাজনৈতিক বিষয় তৈরি করে জনগণকে বন্যার ঘটনা ভুলিয়ে দেওয়ার সচেতন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। তাঁর কথায়, ডান হোক বা বাম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানেই অর্থ তহবিল, তহবিল মানেই ঘুষ এবং টাকা খাওয়া।”
গত বছর আইপিসিসি কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ চন্দ্র ভূষণ বলেন, ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বাড়লেই বিশ্বজুড়ে সমস্ত সম্প্রদায়, অর্থনীতি এবং বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে এক ভাষণে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেস জলবায়ু সংকটের জরুরি অবস্থা তুলে ধরার জন্য কেরলের বিধ্বংসী বন্যার উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রচেষ্টা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)