Loksabha Election 2019: আগে বিজেপিতে ছিলেন সিধু। অমৃতসর কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন
হাইলাইটস
- দিন কয়েক আগে পাঞ্জাবের মোগাতে জনসভা করেন রাহুল
- সরকারি কাজ করছেন না, দলের কোনও ব্যাপারেই থাকছেন না
- তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত করও পছন্দমতো আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না
চন্ডিগড়: ১৯ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও গোসা কমেনি পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সভায় বক্তব্য পেশ করতে না পারা বা লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2019) রাজ্যের তারকা প্রচারক (Star Campaigner) হিসেবে নাম না থাকায় দলের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন সিধু। সরকারি কাজ করছেন না, দলের কোনও ব্যাপারেও মাথা ঘামাচ্ছেন না অতীত দিনের এই তারকা ওপেনার। এখন অবস্থা যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তাতে সিধুর গোসা আরও বাড়তে চলেছে। তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত করও পছন্দমতো আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না। নভজ্যোত চণ্ডীগড় আসন থেকে লড়তে চান। কিন্তু তাঁর জন্য অমৃতসর আসন নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে দল। চণ্ডীগড় থেকে আরও একবার পবন বনশলকেই প্রার্থী করার কথা ভাবে কংগ্রেস। আলোচনা হলেও অমৃতসর থেকে গুরজিৎ সিংকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস।
দিন কয়েক আগে পাঞ্জাবের মোগাতে জনসভা করেন রাহুল। সেখানে বলার সুযোগ পাননি সিধু। এ নিয়েই নতুন করে গোলমাল দেখা দেয়। এমনিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন সিধু।
গত বছর অগস্ট মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন ইমরান খান। সেই অনুষ্ঠানে পুরনো বন্ধু বলে সিধুকে আমন্ত্রণ জানান ইমরান। আরও কয়েকজন প্রাক্তন খেলোয়ারকেও হাজির থাকার অনুরোধ করেন ইমরান। সিধু উপস্থিত হন। শুধু তাই নয় পাক সেনা প্রধানকে আলিঙ্গনও করতে দেখা যায় তাঁকে। দেশে ফিরতেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারতের সেনা জওয়ানদের মৃত্যর মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান। আর সেটা সিধুর মনে রাখা উচিত ছিল।
আগে বিজেপিতে ছিলেন সিধু। অমৃতসর কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে আসন ছাড়তে বলে বিজেপি। অরুণ জেটলিকে ওই আসন থেকে দাঁড় করায় বিজেপি। সিধু অন্য আসন থেকে লড়তে রাজি হননি বলে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অল্প সময় পরেই দল ত্যাগ করেন সিধু। ইতিমধ্যে ২০১২ সালের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে অমৃতসর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী। পরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দল ছাড়েন তিনিও।