এবারের লোকসভা নির্বাচন (lok Sabha Election 2019) বামেদের কাছে কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশের নজর থাকত বামেদের দিকে। তাদের ফল কেমন হচ্ছে তা জানতে সকলেই অপেক্ষা করত। ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি ভোটে নিজেদের জন সমর্থন হারিয়েছে বামেরা। গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে দুটি আসন পেয়েছিল বামেরা। তার পর রাজ্য রাজনীতিতে চোখে পড়ার মতো বদল দেখা গিয়েছে। একটা সময় প্রায় কোনও সংগঠন না থাকা দল বিজেপি এখন নিজেদের শক্তি বাড়াতে পেরেছে। একাধিক লোকসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের থেকে বিজেপির ফল ভাল হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক দলের পরেই ছিল বিজেপি। এমতাবস্থায় সিপিএমের কাছে এই নির্বাচন কার্যত নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাজারে এবার মোদি ছাপ আবির, গেরুয়া সবুজে ‘শৌর্য গুলাল' বিকোচ্ছে দেদার
সিপিএম নেতারাও মেনে নিচ্ছেন বিষয়টি। দীর্ঘ সময় লোকসভায় কাটান প্রাক্তন সাংসদ হান্নান মোল্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন এই নির্বাচন তাঁদের কাছে সবচেয়ে কঠিন লড়াই। আর এ রাজ্যে বামেদের যে কখনও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তা তাঁরা আগে বুঝতে পারেননি। তবে তাঁর আশা আগামী দিনে মানুষ বুঝতে পারবে বামেরাই তৃণমূলের বিকল্প, বিজেপি নয়। তিনি বলেন, বামেদের কেউ মুছে দিতে পারবে না। কিন্তু সংখ্যায় কমে গেলে সংসদীয় রাজনীতিতে দুর্বল হয়ে পড়তেই হবে। এরই মধ্যে তৃণমূল বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু শেষমেশ জোট হচ্ছে না দুটি দলের মধ্যে। আর এতেই ভোট আরও কমে যাওয়ার সম্ভবনা দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, জোট হলে কিছু আসনের ফল অন্যরকম হতে পারত।
এদিকে রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা বামেদের কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, মানুষ বুঝেছে বিজেপি রোখার ক্ষমতা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি গুলির মধ্যে একমাত্র তৃণমূলেরই আছে। আবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মানুষ বামেদের ৩৪ বছরের অপশাসনের কথা ভুলে যায়নি। রাজ্যের ভোটাররা জানে তৃণমূলকে পরাজিত করতে শুধু বিজেপি- ই পারবে, অন্য কেউ নয়।
(সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে )
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)