তৃতীয় দফা নিয়ে রইল পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুজরাট এবং কেরালার সমস্ত কেন্দ্রে আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে। গতবার গুজরাটের সমস্ত আসনে বিজেপি জিতেছিল। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে ফল কিছুটা খারাপ হলেও গুজরাট নিজেদের দখলেই রাখে গেরুয়া শিবির। সে রাজ্যে এবার যদি আসন কমে তাহলে তা বিজেপির কাছে ধাক্কা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দুজনেই এই রাজ্য থেকে উঠে এসেছেন। স্বভাবতই এখানকার ফল যাতে ভালো হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। অন্যদিকে কেরালায় সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই হচ্ছে। এবার দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে কেরালার আসনটি বেছে নিয়েছেন রাহুল। সিদ্ধান্ত নিয়ে বামেদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। একাধিক শীর্ষ বাম নেতা বলেছেন রাহুল যাতে পরাজিত হন তার ব্যবস্থা করা হবে।
তৃতীয় দফার ভোটে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের ১৪টি করে আসনে ভোট হবে। আসন সংখ্যার নিরিখে উত্তরপ্রদেশের পর সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে মহারাষ্ট্রে। ৪৮ টি আসনে যার ফল ভালো হবে সে দিল্লি দখলের লড়াইতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। মহারাষ্ট্র কর্ণাটক ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা ও বিহারেও ভোট হবে। অনেক আসনের ফল নির্ভর করবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের উপর।
কংগ্রেস সভাপতি উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি কেরালা থেকে নির্বাচনে লড়বেন- এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়। বিজেপি দাবি করে হিন্দুদের সঙ্গে যে তাঁরা অন্যায় করেছেন সে কথা রাহুলের জানা আছে আর তাই জয় নিশ্চিত করতে দুটি আসন থেকে লড়ছেন। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি দক্ষিণ ভারতে দলের সংগঠন মজবুত করা এবং সামগ্রিক বার্তা দেওয়ার জন্য এই কেন্দ্রটি বেছে নেওয়া হয়েছে। শুধু রাহুলনয় অমিতের আসন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। গান্ধীনগর কেন্দ্র থেকে বার বার জিতে এসেছেন লালকৃষ্ণ আদবানী। তাঁকে সরানো নিয়ে দলের অন্দরেই অনেক রকম প্রশ্ন আছে।
অমিত এবং রাহুল ছাড়াও আরও কয়েকজন প্রার্থীর দিকে আজ নজর রাখতেই হবে। তালিকায় রয়েছেন মুলায়ম সিং যাদব, মল্লিকার্জুন খাড়গে, শশী থারুর, সম্বিত পাত্র, আজম খান এবং জয়াপ্রদা সহ অনেকে।
তৃতীয় দফার ভোটে শেষ হলে ৫৪২টির মধ্যে ৩০২টি আসনের ভোট পর্ব শেষ হবে। বাকি আসনগুলোতে ভোট নেওয়া হবে আরও চার দফায়।