Lok Sabha Election 2019: আজ দেশজুড়ে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ
হাইলাইটস
- মোট ৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ নেওয়া হচ্ছে
- ৭ আসনেই চতুর্মুখী লড়াই হবে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের মধ্যে
- ৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি করছেন ১,১৬,৯১,৮৮৯ জন ভোটার
কলকাতা: আজ দেশজুড়ে পঞ্চম দফার (Fifth Phase Of General Election) ভোটগ্রহণ। ভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ব্যারাকপুরে আহত হলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) রাজ্যের তিন জেলায় জেলায় মোট ৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ নেওয়া হচ্ছে। ৭ আসনেই চতুর্মুখী লড়াই হবে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের মধ্যে। ৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি করছেন ১,১৬,৯১,৮৮৯ জন ভোটার। ভোট হচ্ছে বনগাঁ, ব্যারাকপুর (Barrackpore), হাওড়া,(Howrah) উলুবেড়িয়া (Uluberia) , শ্রীরামপুর (Srerampur), হুগলি (Hooghly) ও আরামবাগ (Arambag)) কেন্দ্রে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে প্রায় ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এর জন্য মোট ৫৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । এই দফায় প্রচারে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রোড শোও করেন রাজ্যের শাসকদের নেত্রী। সাতটি কেন্দ্রের অন্যতম উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র। এখানে ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্যের মধ্যে জোর টক্কর। তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রয়াত বড়মার বউমা মমতাবালা ঠাকুর এবং বিজেপি প্রার্থী বড়মার নাতি শান্তনু ঠাকুরের জোর লড়াই। এই কেন্দ্রে বামেদের বাজি সিপিআইএমের অলোকেশ দাস, সৌরভ প্রসাদকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। পথ দুর্ঘটনায় আহন হন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সেই ঘটনায় চক্রান্ত দেখছে বিজেপি।
।আক্রান্ত হলেন ব্যরাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং।
২০১১ এবং ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই ঠাকুরবাড়ি অর্থাৎ মতুয়া মহাসংঘের ভোট। রাজ্যে মোট ৩০ লক্ষ মতুয়া মহাসংঘের ভোটার রয়েছে। দুই ২৪ পরগনায় অন্তত পাঁচটি আসনে নির্ণায়ক হতে পারে মতুয়া মহাসংঘের ভোট। ব্যারাকপুরে লড়াই প্রাক্তন ও বর্তমান তৃণমূল নেতার।এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী তথা গতবারের প্রার্থী দিনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিং এর লড়াই। এখানে মহম্মদ আমকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস., বামেদের ভরসা সিপিএমের যুবনেত্রী গার্গি চট্টোপাধ্যায়।
হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে আবারও জোড়াফুল ফোটাতে বর্তমান সাংসদ প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই আস্থা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।এখানে বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। শুভ্রা ঘোষকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস, সৌমিত্র অধিকারী এখানে সিপিআইএএমের প্রার্থী।
উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজি সাজদা আহমেদ। বিজেপির জয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন এই কেন্দ্রে। সোমা রাণীশ্রী রায়কে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। বামেদের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন সিপিআইএমের মকসুদা খাতুন।
হুগলির শ্রীরামপুর আসনে প্রার্থী এবারেও প্রার্থী বদল করেন নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আস্থা রেখেছেন গতবারের প্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই। তাঁকে আটকাতে বিজেপি প্রার্থী করেছে দেবজিৎ সরকারকে। দেবব্রত বিশ্বাসকে লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছে কংগ্রেস। বামেদের ভরসা সিপিআইএমের তীর্থঙ্কর রায়।
তৃণমূলের প্রার্থী বদল হয়নি হুগলি লোকসভা আসনেও। এখানেও গতবারের প্রার্থী রত্না দে নাগকেই প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সিপিআইএমের প্রদীপ সাহা প্রার্থী হয়েছেন এই কেন্দ্রে, কংগ্রেসের প্রার্থী প্রতুলচন্দ্র সাহা।
গতবারের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবারেও প্রার্থী হয়েছে আরামবাগ লোকসভা আসনে। তপনকুমার রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপ। সিপিআইএমের শক্তিমোহন মালিক এবং জ্যোতিকুমারী দাস কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন আরামবাগ লোকসভা আসনে। সাধারণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষ ছাড়াও থাকছেন এক্সপেনডিচার পর্যবেক্ষক বা ব্যায় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক। এই প্রথমবার একজন পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইভিএমের সঙ্গে এবার থাকছে ভিভিপ্যাট মেশিন।