ভোটের দিন আক্রান্ত হলেন অর্জুন সিং
হাইলাইটস
- পঞ্চম দফার নির্বাচনেও রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, আহত হলেন অর্জুন
- ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল
- ব্যারাকপুরের একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে
কলকাতা: পঞ্চম দফার নির্বাচনেও (Fifth Phase Of Lok Sabha Election 2019) রাজ্যে অশান্তি এড়ানো গেল না। আহত হলেন ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। ধস্তাধস্তিতে তাঁর মুখে আঘাত লেগেছে বলে খবর। ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হওয়ার ছবিও দেখা গিয়েছে। প্রথম থেকেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই ব্যারাকপুরের একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। শাসক দল তৃণমূল অভিযোগ করে বিজেপির গুন্ডারা অশান্তি ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয় বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে নজরবন্দি করার জন্য কমিশনের (Election Commission) কাছে আবেদন জানায় তৃণমূল। এমনই উত্তেজক আবহে ভোট শুরু হয় ব্যারাকপুরে। তার আগে গতকাল রাতে কয়েকটি জায়গায় গোলমাল হয়। এক জায়গায় বিজেপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ভোট শুরু হতেই ব্যারাকপুরের নোয়াপাড়া থেকে শুরু করে মোহনপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় গোলমালের খবর আসতে থাকে। অর্জুন সিং অভিযোগ করেন বিজেপির এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। নিজের ভোট দেওয়ার পর মোহনপুরের যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই গোলমাল হয়।
অর্জুনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক বিলির অভিযোগ আনল তৃণমূল
অন্যদিকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর আগেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এখন তিনি কিছুটা সুস্থ, নির্বাচন পরিদর্শনের কাজে বেরিয়ে শান্তনু সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর পরিকল্পনা করে দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। যদিও সরাসরি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মমতাবালা। তিনি বলেছেন শান্তনু যে অভিযোগ আনছেন তা ঠিক নয়। শান্তনুর দাবি তৃণমূল বুঝেছে সুস্থ ভাবে ভোট হলে তাঁর জয় নিশ্চিত। তাই প্রাণ নাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মমতাবালার পাশাপাশি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর চব্বিশ পরগনাত তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও নিশানা করেছেন শান্তনু। অভিযোগ উড়িয়ে মমতাবালার দাবি ২৩ তারিখ ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
এই দুটি অভিযোগ ছাড়া সকালের দিকে আর তেমন বড় কোনও ঘটনা ভোটকে ঘিরে ঘটেনি। তবে কয়েকটি জায়গায় বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।