This Article is From May 05, 2019

দেড় দশক আগে গোটা দেশকে কীভাবে চমকে দিয়েছিল আরামবাগ?

General Election 2019:আরামবাগ এবং প্রবীণ বাম নেতা অনিল বসু এক সময় সমার্থক ছিলেন। পরপর সাতবার এই আরামবাগ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অনিল বসু।

দেড় দশক আগে গোটা দেশকে কীভাবে চমকে দিয়েছিল  আরামবাগ?

হাইলাইটস

  • আরামবাগ এবং প্রবীণ বাম নেতা অনিল বসু এক সময় সমার্থক ছিলেন
  • । পরপর সাতবার এই আরামবাগ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অনিল
  • ২০০৪ সালে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৭ শতাংশেরও বেশি
কলকাতা:

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র (Arambag Loksabha Constituency) এবং প্রবীণ বাম নেতা অনিল বসু (Anil Bose) এক সময় সমার্থক ছিলেন। পরপর সাতবার এই আরামবাগ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অনিল। ২০০৪ সালে শেষবার যখন তিনি লোকসভায় নির্বাচিত হন তখন তাঁর প্রাপ্ত ভোটের  পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৭ শতাংশেরও বেশি। ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন সেবার। এই ফল দেখে চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ।আরামবাগ এলাকার বিভিন্ন নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরেই অবাধে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। বাম আমলে একাধিকবার এই কেন্দ্রে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের। তবে কিছুটা আশ্চর্যজনক ভাবে এই লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কয়েকবার দ্বিতীয় স্থানে থেকেছে বিজেপি।

Election 2019: রাত পোহালেই রাজ্যের ৭ আসনে ভোটগ্রহণ

তবে আরামবাগ চিরকালই বামেদের সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি গুলির একটি। ২০০৯ সালে যখন রাজ্যের একাধিক জায়গায় বামেদের পরাজয় হয় তখনও আরামবাগ নিজেদের দখলে রাখতে  পেরেছিল সিপিএম। কিন্তু গত নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী আফরিন আলি অপরূপা পোদ্দার। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি বিতর্কে তাঁর নাম জড়িয়েছে। দলের সঙ্গে একটা সময় দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল বলেও শোনা যাচ্ছিল। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আরামবাগ কেন্দ্র থেকে অপরূপাকেই প্রার্থী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর বিরুদ্ধে আছেন আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক এবং বিজেপির তপন রায়। এই তিনজন-ই গত নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন।

অর্জুনকে সৈনিক করে ব্যারাকপুরে পদ্ম ফোটাতে পারবে বিজেপি?

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার করে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচার করেছেন এই কেন্দ্রে। এই সভা থেকেই অমিত বলেন রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৯০ দিনের মধ্যে চিটফান্ড কাণ্ডের দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেবে বিজেপি। এরপর একই কথা আরও কয়েকটি সভা থেকে বলেছিলেন  কেন্দ্রে বলেন অমিত। তিনি বলেন, বাংলায় বিজেপির সরকার  হলে  ৯০ দিনের মধ্যে  চিটফান্ডকান্ডের অভিযুক্তদের জেলে পোরা হবে। গরিব মানুষের টাকা যারা লুঠ করেছে  তাদের কাউকে ছাড়া হবে না বলে  তিনি জানান।          

.