কলকাতা: সপ্তম দফার লোকসভা (Seventh Phase Of General Elections 2019 ) নির্বাচনেও অশান্তি এড়ানো গেল না। গত ছ'টি দফার মতো এবারও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে গোলমালের খবর এসে পৌঁছেছে। তবে বড় কোনও অঘটন ঘটেনি। ভোট শুরুর সময় থেকে দফায় দফায় গোলমালের খবর এসেছে যাদবপুর (Jadavpur Loksabha Constituency) থেকে শুরু করে বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে। কলকাতা উত্তর লোকসভা (Kolkata North Loksabha Constituency) কেন্দ্রে ‘আক্রান্ত' হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) । তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান হয়। ভোট কেন্দ্রে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Union Minister Babul Supriyo)। কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াসাঁকোর বিধানসভা একটি বুথে ভোট দিতে যান বাবুল। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আর সেই কারণে ভোটারদের বুথে পৌছতে সময় লেগে যাচ্ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে অনেকেই ভোট দিতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বাবুল। এবারও তার অন্যথা হল না।
বসিরহাটে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল। তৎপর বাহিনী।
অন্যদিকে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও তাঁকেও বুথে যেতে বাধা দিয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ ওই এলাকার বিজেপির এক মন্ডল প্রেসিডেন্টের গাড়ি ভেঙেছে তৃণমূল। আবার বসিরহাটে অনেকেই ভোট দিতে পারেননি বলে দাবি করেন। রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন তারা। শেষমেষ কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
তৃণমূলের দুই মহিলা প্রার্থী বারাসতের কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের মালা রায় এদিন সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। গোলমালের খবর মিলেছে ইসলামপুর এবং ভাটপাড়ার উপনির্বাচনেও। ভোট শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেদারনাথ সফর সম্প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দলের চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে এভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এই সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেসও। তবে এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কমিশন আমাত দুটো দিন কাটানোর সুযোগ দিয়েছেন বলে ধন্যবাদ।