রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে কৃষ্ণনগরের(Krishnanagar) একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। এই কেন্দ্রে ভোট শুরু হয় ১৯৬৭ সালে তারপর থেকে টানা তিন দশক বামেদের দখলে ছিল এই কেন্দ্রটি। কিন্তু কংগ্রেস তৃণমূল বা কংগ্রেস নয় এই কেন্দ্রে(Krishnanagar) বামেদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। ১৯৯৮ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও হন বঙ্গ রাজনীতির জুলুবাবু। ২০০৪ সালে অবশ্য এখানেও আবার ভাল ফল করে বামেরা। সাংসদ হন জ্যোতির্ময়ী শিকদার। ২০০৯ সাল এবং ২০১৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রে(Krishnanagar) জিতে আসছেন তৃণমূলের তাপস পাল। গতবার তিনি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৯ ভোট পান। সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৭৩টি ভোট। এবার সব পক্ষই প্রার্থী বদলেছে। তৃণমূল প্রার্থী করেছে করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রকে। আবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যান চৌবে। সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সান্তনু কংগ্রেস প্রার্থী করেছে ইন্তাজ আলীকে।
এখন গড় কিন্তু কবে প্রথম বহরমপুরে জেতে কংগ্রেস?
জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে দ্রুত উঠে আসছেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হোক বা জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার সবেতেই মহুয়ার গুরুত্ব বাড়ছে। একাধিক কারণে দলের সঙ্গে তাপস এর দূরত্ব বাড়ে তাই তাপসের জায়গায় মহুয়াকেই প্রার্থী করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রীর বদলে কল্যাণ চৌবেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। শেষমেষ কৃষ্ণনগর(Krishnanagar) কাকে সমর্থন করবে তা জানা যাবে ২৩মে।
বাঁকুড়ার মতো আসানসোলেও মিরাকেল করতে পারবেন মুনমুন?
কৃষ্ণনগরের(Krishnanagar) ভোট ঘিরে কিছুটা উত্তেজন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল প্রার্থী সর্বোচ্চ আদালতে নদীয়ার বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের প্রচার চলার সময় মহাদেব কৃষ্ণনগর বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের উপস্থিতিতে একটি জনসভায় তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। এ ব্যাপারে কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলো সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে মহুয়া অনুরোধ করেন তাঁর কেন্দ্রে ভোটের প্রচার শেষ হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। এমতাবস্থায় কমিশন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়া হোক। এরপর কমিশনকে মহুয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।