Lok Sabha Election 2019: রাজীব-তনয়া কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
হাইলাইটস
- ঔদ্ধত্যের জন্যই শেষ হয়েছিলেন দুর্যোধন, মোদীকে কটাক্ষ করে দাবি প্রিয়াঙ্কা
- প্রিয়াঙ্কা বললেন মোদীর যে ঔদ্ধত্য আছে সেটা মহাভারতের দূর্যোধনরেও ছিল
- অন্য কিছু খুঁজে পায় না তখনই আমার পরিবারকে অপমান করে
নিউ দিল্লি: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে (Rajiv Gandhi) এক নম্বরের দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা বলে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। গত কয়েক দিনে সমস্ত বিরোধীদলের নেতা নেত্রীরা এই মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেছেন। এবার সরব হলেন রাজীব-তনয়া । কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) বললেন মোদীর যে ঔদ্ধত্য আছে সেটা মহাভারতের দূর্যোধনরেও ছিল। আর তার জন্যই তাঁর পতন হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ওরা যখন অন্য কিছু খুঁজে পায় না তখনই আমার পরিবারকে অপমান করতে শুরু করে। কিন্তু দেশ কখনওই ঔদ্ধত্য কে প্রশ্রয় দেয়নি। দুর্যোধনের মধ্যেও একই রকমের ঔদ্ধত্য ছিল। ভগবান কৃষ্ণ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং গোটা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। কিন্তু দুর্যোধনের ঔদ্ধত্য এতটাই বেশি ছিল যে তিনি শ্রীকৃষ্ণ কেও আটক করার চেষ্টা করেন। আম্বালা জনসভা থেকে এভাবেই আক্রমণ প্রিয়াঙ্কা। কৃষ্ণ কি চেতাবনি নামে একটি কবিতাথেকে কয়েকটি লাইন আবৃত্তি ও করেন প্রিয়াঙ্কা।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের উপর আস্থা রাখতেন, তাঁর যদি স ত্সাহস থাকত তাহলে তিনি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষকদের সমস্যা এবং মহিলাদের নিরাপত্তাকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়তেন কিন্তু তিনি তা করছে না।
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রিয়াঙ্কাকে জবাব দিয়েছে বিজেপি। আর সেই ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বলেন গণতন্ত্রে কে দুর্যোধন আর কে দূর্যোধন নয় তা কারও কথায় ঠিক হয় না। ২৩ মে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হলেই বোঝা যাবে কে দূর্যোধন আর কে তা নয়। কংগ্রেস যতই অপমান করার চেষ্টা করুক না কেন ভোটারদের মন বদলাবে না।গত মাসে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও প্রধানমন্ত্রীকে দুর্যোধনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন