Read in English
This Article is From May 24, 2019

‘অমেঠীর জন্য নতুন সকাল’ টুইট করলেন ২০১৯-এর তারকা বিজয়ী স্মৃতি ইরানি

বিজেপি নেত্রী বলেছেন, ‘অমেঠীর জন্য একটা নতুন সকাল, একটা নতুন অঙ্গীকার। আপনারা আপনাদের বিশ্বাস উন্নয়নের উপরে রেখেছেন, অমেঠীর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছেন স্মৃতি ইরানী

নিউ দিল্লি :

স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) আজ অমেঠীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করলেন, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে (Rahul Gandhi's defeat) তাঁর জয় সম্ভবত এবারের নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) ‘শো স্টপার'। বিজেপি নেত্রী বলেছেন, ‘অমেঠীর জন্য একটা নতুন সকাল, একটা নতুন অঙ্গীকার। আপনারা আপনাদের বিশ্বাস উন্নয়নের উপরে রেখেছেন, অমেঠীর কাছে কৃতজ্ঞ।' অমেঠীতে রাহুল গান্ধীর হার- তিনি অবশ্য কেরলের ওয়ানাদ থেকে জিতেছেন যে দ্বিতীয় স্থান থেকে তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন- জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের সম্পূর্ণ ভেঙে পড়াকে সম্পূর্ণতা দিয়েছে আর প্রত্যক্ষ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় বারের জন্য বিপুল জনাদেশ প্রাপ্তি। স্মৃতি ইরানি জিতেছেন‌ ৫৫,০০০ ভোটে। 

“একটু বুক ধড়ফড় করছিল! আমি জানিই না কেন হারলাম...” জানালেন মুনমুন সেন

অমেঠীর বাঁক বদল কংগ্রেসের সবচেয়ে খারাপ ভয়কে সত্যি করেছে- তাদের সবচেয়ে বড় মুখ পারিবারিক ঘাঁটিকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, এমনটা ২০১৪-তেও ঘটেনি, যখন দল তার সর্বকালের সর্বনিম্ন সংখ্যাপ্রাপ্তির হিসেবের মধ্যে ডুবেছিল। 
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এই কীর্তি ১৯৭৭-এ রায়বেরিলিতে রাজ নারায়ণের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরাজয়ের সঙ্গে তুলনীয়। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় স্মৃতি ইরানি বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন। 
এখন কংগ্রেসের মাত্র একটিই আসন রইল উত্তরপ্রদেশে, ৮০টি লোকসভা বিশিষ্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে। বিজেপির দখলে ৬৪টি। 
স্মৃতি ইরান‌ি ২০১৪ সালে অমেঠীতে রাহুল গান্ধীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। কেবল সান্ত্বনা ছিল, তিনি রাহুলের জয়ের ব্যবধান অনেকটা কমাতে পেরেছিলেন। 

Advertisement

শীর্ষেন্দু থেকে কৌশিক সেন, সবুজ দুর্গে গেরুয়া হানা নিয়ে কী বলছেন তারকারা?

প্রাক্তন দূরদর্শন অভিনেত্রী হাল ছাড়েননি। পড়ে থেকেছেন রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে ১৩০ কিমি দূরে অবস্থিত বিরাট আয়তনের গ্রাম্য লোকসভাটিতে। 
অমেঠীতে বারংবার উপস্থিত হয়ে স্মৃতি ইরানি সেখানে নানা কেন্দ্রীয় যোজনা আরম্ভ করেন ও নিজেকে ‘অনুপস্থিত সাংসদ'-এর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেন।  
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময় বিজেপি পুরস্কৃত হয় অমেঠীর পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের চারটিতেই জয়ী হয়ে। 
যখন রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এই প্রথম কোনও দ্বিতীয় কেন্দ্রকে বেছে নেন, তখন বিজেপি বলতে শুরু করে, এটা তাঁর এই আসনটি পরিত্যাগ করার সঙ্কেত। সেই বার্তা ওখানেও পৌঁছোয়। 
কংগ্রেস সেই সঙ্কেত পড়তে ভুল করেছিল। সম্ভবত আত্মতুষ্টির কারণে রাহুল গান্ধী সেখানে প্রচারের জন্য খুব কম গিয়েছেন, তাঁর ধারণা ছিল অমেঠী তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখবে। পরে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডঢ়া ওই লোকসভা কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন এবং ‌সভাও করেন। কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গিয়েছে। 
অমেঠী, যে কেন্দ্র রাহুল গান্ধী, তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী, তাঁর বাবা রাজীব গান্ধী এবং তাঁর কাকা সঞ্জয় গান্ধী সকলকে ভোট দিয়েছিল, সেটি হাতছাড়া হল। 
‘কউন কহেতা হ্যায় আস্মা মে সুরখ নেহি হো সকতা (কে বলে অসম্ভবকে পাওয়া যায় না)', বৃহস্পতিবার স্মৃতি ইরা‌নি তাঁর অবিশ্বাস্য জয়ের পরে কবি দুষ্মন্ত কুমারের এই পঙক্তি তুলে টুইট করেন। 
অমেঠীর হার মেনে নিয়ে এক সাংবাদির সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘আমি চাই স্মৃতি ইরানিজি মানুষের বিশ্বাসে আস্থা রাখবেন ও ভালোবাসার সঙ্গে অমেঠীর খেয়াল রাখবেন।''

Advertisement
Advertisement