শত্রুঘ্ন সিনহাকে এই বছর বিজেপি টিকিটই দেয়নি।
নিউ দিল্লি: বিজেপির ঘরের লোক তিনি। তবু, প্রয়োজনে দলের কঠোর সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র গলা কাঁপে না তাঁর। তার ফলে এখন ‘বিক্ষুব্ধ' সাংসদ হয়ে পড়েছেন দলে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha election) বিজেপির (BJP) হয়ে যে তিনি লড়বেন না, তা একরকম জানতেনই বিজেপি সাংসদ তথা বলিউডের ‘বিশ্বনাথ' শত্রুঘ্ন সিনহা (Satrughan Sinha)। তবে তাতেও তাঁর সেই একইরকম ‘কুছ পরোয়া নেহি' মনোভাবই বর্তমান। তা একটুও টাল খায়নি। মঙ্গলবার তিনি তীব্র প্রশংসা করলেন কংগ্রেস সভাপতি (Congress president) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন যে, দেশের ২০ শতাংশ দরিদ্রতম পরিবারকে প্রতি বছর ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে তাঁরা ক্ষমতায় এলে। শত্রুঘ্ন সিনহার কথায় এই ঘোষণাটি রাহুল গান্ধীর একটি ‘মাস্টারস্ট্রোক'। শুধু তাই নয়, তিনি রাহুল গান্ধীকে ‘মাস্টার অব সিচুয়েশন' বলেও অভিহিত করেন।
“এটা রাহুল গান্ধীর একটি দুর্দান্ত ও চোখধাঁধানো মাস্টারস্ট্রোক। তাঁর এই ঘোষণার ফলে নড়েচড়ে বসেছে তাঁর বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলনও করতে হয়েছে সেই বিরোধীদের। রাহুল গান্ধীর ঘোষণাটির মধ্যে যে ‘কপটতা' রয়েছে, তা বোঝানোর জন্য”। টুইট করে এই কথা বলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী বলেন, ন্যূনতম আয় যোজনা হল দারিদ্রের ওপর চূড়ান্ত আক্রমণ।
রাহুল গান্ধীর এই ঘোষণাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের ১২ কোটি দরিদ্র চাষীদের জন্য যে সরাসরি ৬ হাজার টাকা নগদ অর্থ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রকল্পের কথা বাজেটে ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার, তার বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি রাহুল গান্ধীর এই ঘোষণাকে আক্রমণ করে বলেন, কংগ্রেস চিরকালই দারিদ্র্য দূর করার নামে রাজনৈতিক লেনদেন চালিয়ে যায়। ওরা এইভাবে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে দেশের মানুষকে।
প্রসঙ্গত, ২০০১৪ সালে বিহারের পাটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করা শত্রুঘ্ন সিনহাকে এই বছর বিজেপি টিকিটই দেয়নি। তাঁর জায়গায় ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছেন, এর ‘জবাব' তিনি দেবেন।