কর্মীকে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস।
হাইলাইটস
- প্রথম ভোটার ছেলের সামনেই কুপিয়ে খুন করা হল টিয়ারুলকে
- মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভগবানগোলা এলাকায় আজ সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে
- কংগ্রেসের দাবি ওই কেন্দ্রের ১৮৮ নম্বর বুথে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়
কলকাতা: ছেলে প্রথমবার ভোট দেবে তাই তাকে সঙ্গে করে বুথে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা টিয়ারুল শেখ। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না আর। রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গেল পেশায় নির্মাণ শ্রমিক টিয়ারুলের। অভিযোগ ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভগবানগোলা এলাকায় আজ সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। কংগ্রেসের দাবি ওই কেন্দ্রের ১৮৮ নম্বর বুথে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। তাতে টিয়ারুলের মৃত্যু হয়। তিনি এলাকায় কংগ্রেসের ভোটার বলে পরিচিত। স্থানীয় কংগ্রেস প্রার্থী আবু তাহের দাবি করেন তৃণমূলের গুণ্ডারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে সাংসদ অধীর চৌধুরিও বলেন কংগ্রেস করার জন্যই টিয়ারুলকে খুন করা হয়েছে। একই দাবি জেলার অন্য নেতাদের।
“পরের পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই চাই” বিজেপিতে যোগ দিয়ে মত সানি দেওলের
তবে তৃণমূলের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তাই নূরের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী তথা একদা কংগ্রেসের বড় নেতা আবু তাহের খান বলেছেন টিয়ারুলের খুনের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন টিয়ারুল।
টিয়ারুল কেরালায় কাজ করতেন। ভোট দিতেই নিজের গ্রামে ফিরেছিলেন। ছেলে জানান, গোলমাল শুরু হওয়ার পর বাবা আর আমি দৌড়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছিলাম। ওরা পেছন থেকে এসে আমাদের উপর হামলা করে। আমি পড়ে যাই। ওদের আমরা চিনি। ওরা আমাদের প্রতিবেশি। আমি জানি ওরা তৃণমূল করে। বাবাকে আহত করার পর আমি ক্ষতস্থানে কাপড় জড়িয়ে দিয়েছিলাম। গাড়ি ডেকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তখনও ওরা আমাকে আঘাত করেছিল।
এদিকে, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীকে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখায় যুব কংগ্রেস। পাশাপাশি ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ হামলাকারীদের মধ্যে লালু নামে এক ব্যক্তি ছিল। তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।