Lok Sabha Election 2019: পাঁচটি কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে সকালের দিকে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোট দেরি করে শুরু হয়
হাইলাইটস
- শুরুর দিকে তেমন কোনও বড় গোলমাল না হলেও কয়েকটি অশান্তির খবর মিলেছে
- দুটি জেলার কয়েকটি জায়গায় বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ
- ডোমকলে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীসহ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন
কলকাতা: দ্বিতীয় দফা লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2019) রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। তৃতীয় দফার (Third Phase) শুরু কয়েক ঘণ্টায় তেমন কোনও বড় গোলমাল না হলেও কয়েকটি অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।আজ রাজ্যের তিন জেলার ৫টি আসনে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে মালদা (Malda) এবং মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দুটি করে আসনে ভোট হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর। দুটি জেলার কয়েকটি জায়গায় বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ।মুর্শিদাবাদের (Domkal) ডোমকলে ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। মালদার কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস। গতকাল রাতে ডোমকলে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী সহ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া সকালেও বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ।
বাবুলের হয়ে সভা করতে আজ আসানসোলে মোদী
এর বাইরে তিন জেলার পাঁচটি কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে সকালের দিকে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোট দেরি করে শুরু হয়। কোথাও আবার ভিভিপ্যাটে সমস্যা দেখা দেয়। তার জন্য ভোট শুরু করতে দেরি হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাছাড়া বালুরঘাটের কয়েকটি বুথের সামনে জমায়েত দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলিকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিকে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সুতি এলাকয় তাদের ক্যাম্পে পুলিশ ভাঙচুর চালিয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি।
এই পাঁচটি কারণে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফাটি বিশেষ
এর আগে দ্বিতীয় দফা ভোটের শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সবথেকে বেশি গোলমালের খবর পাওয়া যায় দার্জিলিঙের চোপড়া থেকে। সকালেই ভোটারদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তা কর্মীরা। ভোটারদের দাবি সকালে তাঁরা যখন ভোট দিতে যাচ্ছিলেন সে সময় তৃণমূল আশ্রিত কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। কয়েক জনকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর স্থানীয় নৈনিতাল বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ভোটাররা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি।
শুধু দার্জিলিঙের চোপড়া নয় রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের গোয়ালপোখর একই ধরনের গোলমাল হয়ে। এখানেও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রায়গঞ্জেরই ইসলামপুরের পাটাগড়ায় সিপিএম প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ মহম্মদ সেলিমের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে৷ সাংসদ দাবি করেছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এবার তৃতীয় দফাতেও কয়েকটি গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। দুপুরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।