শুধু তাই নয় তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা এলাকায় অস্ত্র হাতে ঘুরছে।
হাইলাইটস
- উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর
- রাজ্যের আরও ৬টি কেন্দ্রের সঙ্গে এই ব্যারাকপুরে ভোট নেওয়া হবে
- প্রথম থেকেই রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল ব্যারাকপুর দিকে
কলকাতা: উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর (Barrackpore Loksabha Constituency) । কাল পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচনে (Lok sabha Elections 2019) রাজ্যের আরও ৬টি কেন্দ্রের সঙ্গে এই ব্যারাকপুরে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর প্রায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল ব্যারাকপুর দিকে। এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়া চারবারের তৃণমূল বিধায়ক এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ নিজের পেশি শক্তি এবং গুন্ডাদের কাজে লাগিয়ে এবং তাদের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছেন অর্জুন। নির্বাচনের আগের দিন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য মাত্রায় পৌঁছল। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল তৃণমূল। তাদের দাবি অর্জুন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক বিতরণ করছেন। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বাংলার শাসক শিবির।
উলুবেড়িয়ায় উপনির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাইছে তৃণমূল
শুধু তাই নয় তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা এলাকায় অস্ত্র হাতে ঘুরছে। পুলিশও তাদের তাদের বাধা দিচ্ছে না। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে কয়েকটি জায়গায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তাদের দলের কর্মীদের বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে। মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরে দিচ্ছে পুলিশ। তারা যাতে ভোটের দিন রাস্তায় না বেরতে পারে তা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। হালিশহরের কয়েকটি জায়গায় শনিবার রাতে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ চালান হয় বলে অভিযোগ। এরপর রবিবার সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। সে সময় পুলিশও সেখানে ছিল। সংবাদ মাধ্যমে দেখা যায় পুলিশকে নিশানা করে অর্জুন সিং বলছেন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই তারা সেখানে এসেছেন। এমনিতেই এই পর্বে যে 7 টি কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে অর্জুনের নামে সর্বাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর আগেই কমিশনের কাছে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছেন অর্জুন সিং। তাই সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে হলে তাঁকে নজরবন্দি করতে হবে।যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। এরপরই রবিবার তৃণমূলের দাবি, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক বিতরণ করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে কমিশন কী ব্যবস্থা নেয় তা জানতে উদগ্রীব রাজনৈতিকমহল।