সমস্ত জল্পনার অবসান করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায় অর্জুন সিং। দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগদান করেন তিনি।
ভাটপাড়ার বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অনেক দিন ধরে। উত্তর চব্বিশ পরগনার এই দাপুটে নেতার দল বদল ঘিরে জল্পনা চলছিল। শেষমেশ দলত্যাগ করেই ফেললেন অর্জুন। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়তে চেয়েছিলে অর্জুন।
নিজের বক্তব্য প্রকাশ্যেই তুলে ধরেন তিনি। এখনকার তৃণমূল সাংসদ এবং এ বারের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে এলাকার মানুষ খুশি নয় বলে তাঁর দাবি। কিন্তু টিকিট পাননি অর্জুন। আর তাই তিনি দল ছাড়ছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দীনেশ ত্রিবেদী ভাটপাড়া কেন্দ্রে পরাজিত হন। আর দুবছর বাদে সেই আসন থেকেই বড় ব্যবধানে জেতেন অর্জুন। এরপরই তিনি দল ছাড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল রাতেই দিল্লি চলে যান অর্জুন। সেখানে গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে মুকুল রায়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে অর্জুনের।
অর্জুনের আগে আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অন্য দল থেকেও অনেকে নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। সাম্প্রতিক কালে তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং অনুপম হজরা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তবে দুজনকেই দল থেকে বহিস্কার করেছে তৃণমূল। এছাড়া কংগ্রেস নেতা গৌতম ঘোষ থেকে শুরু করে সিপিএম বিধায়ক এবং তৃণমূলের আইনহজীবী নেতাও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
সূত্রের খবর এই দলবদল নিয়ে আগেই চর্চা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে খবর রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক। তবু তিনি রাজনীতিতে ‘আরও বড়' ভূমিকা পালন করতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার সময় মমতা বলেন, অনেকে প্রার্থী হতে চেয়েছেন। আমি দিতে পারিনি। তাঁরা অন্য দলে যেতেই পারেন। আমি বলছি তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁরা বুঝবেন তাঁদের জীবন থেকে কী হারিয়েছে।