হাইলাইটস
- রাজ্যের ৪২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল
- রাজ্যের দুই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান
- বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও প্রার্থী দেবে তৃণমূলঃমমতা
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2019 ) রাজ্যের ৪২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল (TMC)। অসমের পাঁচটা আসনে লড়াই করছে তৃণমূল। কিষাণগঞ্জ-সহ আরও একটি আসনে লড়বে তৃণমূল। লড়াই হবে ঝাড়খণ্ডে। এবার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকেও প্রার্থী করল তৃণমূল। লড়ছেন নুসরতও। তাছাড়া গতবারের সাংসদ দেব এবং মুনমুন সেনও লড়ছেন। দেবের আসন এক থাকলেও মুনমুন সেনকে বাঁকুড়া থেকে আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া থেকে লড়ছেন রাজ্যের প্রবীণতম মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রত্যাশা মতোই কংগ্রেস ছেড়ে দলে যোগ দেওয়া মৌসম বেনজির নূর এবং আবু তাহের প্রার্থী হচ্ছেন মালদা উত্তর থেকে আর মুর্শিদাবাদ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আবু তাহের। একটা সময় দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি হিসেবে মুর্শিদাবাদের রাজনীতি দেখেছেন আবু।
‘রমজানে ভোটে অসুবিধার কথা বলে মুসলমানদের অপমান হচ্ছে'; আসাদউদ্দীন ওয়াইসি
পুরনো সাংসদদের মধ্যে অনেকেই এবারও লড়ছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী সুব্রত বক্সি এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তাঁর জায়গায় ভোটে লড়ছেন কলকাতা পুরসভার (kmc) চেয়ারম্যান মালা রায়।
কয়েকজন এবার আর টিকিট পেলেন না। তাঁদের মধ্যে আছেন, সন্ধ্যা রায়। মেদিনীপুর আসন থেকে এবার তাঁর জায়গায় লড়তে দেখা যাবে মানস ভুঁইয়াকে। টিকিট পাচ্ছেন না তাপস পালও। একটা সময়ে শোনা গিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতা থেকে লড়তে পারেন তিনি। তবে শেষমেশ নিজের কেন্দ্র বদলাচ্ছেন না অভিষেক।
গতবারও এই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়েছেন মালা। তবে সেটা কংগ্রেসের হয়ে। এবার লড়ছেন তৃণমূলের হয়ে। কলকাতা উত্তর আসন নিয়েও দলের অন্দরে শোনা গিয়েছিল নানা কথা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা এবং দীর্ঘ দিনের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করল রাজ্যের শাসক দল।
এবারও কালীঘাটের বাড়ি থেকেই প্রার্থী ঘোষণা করেন মমতা। আলাদা তৃণমূল ভবন থাকলেও প্রথম থেকেই বড় নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বাড়িতে বসেই করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সব মিলিয়ে দলের ১০ জন পুরনো সাংসদকে বাদ দিলেন নেত্রী। মমতা জানান, যাঁরা টিকিট পেলেন না তাঁদের দল অন্য কাজে লাগাবে। প্রার্থী ঘোষণা করে মমতা বলেন, প্রার্থীদের ৪১ শতাংশই মহিলা।