কলকাতা: বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদকে (Firdous Ahmed) দিয়ে দলীয় প্রার্থীর প্রচার করিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo ) । আসানসোলের এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, "তৃণমূল একজন বিদেশি নাগরিককে প্রচারের অংশ করল কেন? তিনি কোন দলকে পছন্দ করেন সেটা রাজ্যের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া কি ঠিক? তৃণমূল কী করে ভাবল এরকম একটা কাজ করা উচিত"। তাঁর অভিযোগ এভাবেই প্রকাশ্যে তোষণের রাজনীতি করছে তৃণমূল। এদিকে বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বিদেশের নাগরিককে দিয়ে প্রচার করালে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয় কিনা তা স্পষ্ট করে বলা নেই। তবে এক্ষেত্রে কোনও আইন ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মার খেলেন কংগ্রেস নেতা, সারা রাত ধর্নায় অধীর
লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে ডান-বাম সমস্ত পক্ষ। প্রত্যেকটি প্রার্থী আলাদা আলাদা করে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নিত্যদিন প্রচারে অভিনবত্ব চোখে পড়ছে। সেই মতো বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌসকে রায়গঞ্জে প্রচারে নিয়ে আসে তৃণমূল। তাঁর সঙ্গে বাংলা চলচিত্রের কিছু পরিচিত মুখকেও দেখা গিয়েছে প্রচারে। ছিলেন পায়েল সরকার থেকে শুরু করে অঙ্কুশ সহ অনেকে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হুড খোলা গাড়িতে সাওয়ার হয়ে তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়ালের জন্য তাঁরা প্রচার করছেন। তবে ফিরদৌস তাঁর হয়ে প্রচার করেছেন কিনা তা জানা নেই প্রার্থীর।
দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখল কমিশন
বাবুল সুপ্রিয়র পাশাপাশি বিজেপির অন্য নেতারাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, "আশা করি কমিশন ব্যবস্থা নেবে। তাঁর মতে বিষয়টিকে সহজভাবে নেওয়া যাবে না। গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখবে"। কিন্তু সত্যিই কি আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে ? রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, "ফিরদৌসকে প্রার্থী ডেকেছিলেন কিনা সেটা জানি না। আইন অনুযায়ী বিদেশি নাগরিক ভোটে দাঁড়াতে পারেন না। কিন্তু প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বোধহয়"।
কমিশনের আধিকারিকের প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন দিলীপ!
শুধু রাজ্য নয় গোটা দেশেই নির্বাচনী প্রচার রঙিন হয়ে উঠেছে। টলিউডের মতো বলিউডের তারকারাও প্রচার করছেন। মাত্র কয়েক দিন আগে স্ত্রী হেমা মালিনির জন্য প্রচার করেন ধর্মেন্দ্র। আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পর আরও পাঁচ দফায় ভোট গ্রহণ হবে। সে সময় প্রচার আরও রঙিন হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়। নির্বাচন যত এগোবে প্রচার তত জমকালো হবে, মত রাজনৈতিক মহলের।
(সংবাদ সংস্থা এএনআই ও পিটিআই তথ্য সংযোজিত হয়েছে )