আগে ভিভিপ্যাট গোনার দাবি খারিজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । ২২ টি বিরোধী দল একযোগে এই দাবি করেছিল কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দিল। বিরোধীদের দাবি ছিল ইভিএম (Electronic Voting Machine ) গোনার আগে ভিভিপ্যাট (VVPAT) পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কিন্তু ভোট গণনার ঠিক আগের দিন কমিশন জানিয়ে দিল তেমন কিছু করা হবে না। সুপ্রিম কোর্ট (Top Court) আগেই নির্দেশ দিয়েছিল ভিভিপ্যাট (VVPAT) এবং ইভিএম (EVM) মিলিয়ে দেখতে হবে। সেই মতোই প্রস্তুতি নেওয়া হতে থাকে। কিন্তু বিরোধীরা আগে ভিভিপ্যাট পরীক্ষার দাবি তোলে। তা খারিজ করল কমিশন। সিদ্ধান্ত হয়েছে ভোট গোনার পর্ব মিটে গেলে তারপর ভিভিপ্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
কারচুপির আশঙ্কায় সারারাত স্ট্রং রুম পাহারা দিলেন বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীরা
নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে গতকাল কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। কমিশন জানায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। এরপর আজ নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায় কমিশন। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরাট জয় পায়। এরপর বিরোধী দলগুলির তরফে ভিভিপ্যাট গণনার দাবি তোলা হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টও কমিশনকে জানায় ভিভিপ্যাট গুনতে হবে। তবে কী পরিমাণে তা গোনা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কমিশনের উপরেই ছেড়েছে আদালত।
কিন্তু ভিভিপ্যাট যে বেশি করে পরীক্ষা করতে হবে তা জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। ঠিক হয় প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা বিধানসভা ধরে ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ হবে। সবমিলিয়ে প্রতিটি লোকসভা আসনের জন্য ৩০ টি করে ভিভিপ্যাট মেশিন পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রথম থেকেই কমিশন বলে আসছে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখা বা পরীক্ষা করার বিষয় থাকলে গোটা পক্রিয়া শেষ হতে অনেক বেশি সময় লাগবে।
এই বক্তব্য শুনে আদালত জানায়, সময় লাগতেই পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দল যাতে ভোটের ফল নিয়ে সন্তুষ্ট হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরও ইভিএম নিয়ে সংশয় কাটছে না। উল্টে বিভিন্ন দলের তরফে দাবি করা হয়েছে ইভিএম লুট করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর তাই গতকাল সারারাত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইভিএম পাহাড়া দিয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা।