কলকাতা: আজ আবার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বৈরথ (Dual)। উত্তরবঙ্গের তিনটি জায়গা থেকে নির্বাচনী (Lok Sabha Elections 2019) সভা করবেন এই দুজন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেছেন একে অপরকে আক্রমণ শানাবেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে মোদী- মমতার দ্বৈরথ দেখেছিল রাজ্য। তারপর আবারও একই দিনে সভা করে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবেন দুজন। এর আগে বুধবার শিলিগুড়ি এবং কলকাতায় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন কোচবিহারের দিনহাটায় মমতার সভা ছিল। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের মানুষদের কাছে পৌঁছতে দিচ্ছেন না এমন অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে স্পিড ব্রেকার দিদি (Speed Breaker) বলে কটাক্ষ করেন মোদী। পাল্টা মমতা বলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে (Expiry PM)। এই আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের রেশ বজায় রেখেই আজ আবার একই দিনে দুজনের সভা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কড়া আইন তৈরি হবে। আমরা আর আপানরা মিলে এমন একটা সরকার করব যেটা বাম আর তৃণমূলের গুন্ডারাজ থেকে মুক্ত হবে
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কড়া আইন তৈরি হবে। আমরা আর আপানরা মিলে এমন একটা সরকার করব যেটা বাম আর তৃণমূলের গুন্ডারাজ থেকে মুক্ত হবে
গরিবের টাকা কারা লুঠ করেছে সেটা সবাই জানে। চৌকিদার তাদের ছাড়বে না।
মা সারদাকেও সারা দেশ পুজো করে। কিন্তু এ রাজ্যে সারদা মানে চিটফান্ড। গোলাপ বললে সবাই ফুলের কথা ভাবে। কিন্তু এখানে কাঁটার কথা মনে হয়।
দিদি কি আপনাদের বলেছেন কেন পরীক্ষায় পাশ করার পরও বাংলার যুবক যুবতীরা চাকরি পায় না? ত্রিপুরাতেও একই জিনিস হত। এখন বামেদের হাত থেকে ক্ষমতা আমাদের হাতে এসেছে। ত্রিপুরায় আমরা বামেদের মডেলকে নিইনি।
দিদির আসল চেহেরা পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসতে হবে।
স্পিড ব্রেকার দিদি না আটকালে রাজ্যে উন্নয়ন হত। এই নির্বাচনে দিদিকে শিক্ষা দিতে হবে।
রাজ্যে পিসি ভাইপোর সরকার অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করছেন। মানুষ থেকে শুরু করে পশুদের যারা পাচার করে তাদের সাহায্য করছেন।
ভোট পেতে মা মাটি মানুষের কথা ভুলে গিয়েছেন। যাঁরা দেশে দুজন প্রধানমন্ত্রী চান দিদি তাঁদের সমর্থন করছে।
দিদি এখন সারাদিন বলে মোদী হাটাও। কিন্ত দেশের মহিলা থেকে শুরু করে যুবকরা মোদীর রক্ষাকবচ। তাঁকে কে সরাবে।
২০১৪ সালে রোজ সন্ত্রাসবাদী হামলা হত। তখনকার সরকার জানত কারা এই সন্ত্রাসবাদীদের পাঠাচ্ছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। এখন নতুন ভারত জঙ্গিদের বাড়িতে ঢুকে মারতে প্রস্তুত। কিন্তু কিছু লোকের তাতেও সমস্যা হয়।
সমস্ত অসম্ভব এখন সম্ভব হচ্ছে।কেন্দ্রীয় সরকার কোচবিহাররে উন্নয়নের জন্য টাকা দিয়েছে। একটা সময় মনে হত ভারত জঙ্গিদের বাড়িতে ঢুকে মারতে পারবে না। এখন সেটা হয়।
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমার আর কমিশনের উপর রেগে যাচ্ছেন। আপনাদের ভিড় প্রমাণ করছে এ রাজ্য দিদির হাত থেকে মুক্তি চাইছে।
আপনাদের ভালবাসায় আমার দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আপনারা যতবার মোদী মোদী করেন স্পিড ব্রেকার দিদির রাতের ঘুম ততই উবে যাচ্ছে।
বিজেপির সভায় যাতে ভিড় কম হয় তার জন্য মমতার মঞ্চ তৈরি করে রাখা হয়েছেঃ মোদী
ছোট বাচ্চার মতো আচরণ করে ভোট জেতা যায় না। মোদীর মঞ্চের পাশেই মমতার মঞ্চকে কটাক্ষ করে একথা বললেন মোদী।
কোচবিহার রাসমেলা মাঠে বাংলায় ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী
সভাস্থলে পৌঁছেলেন প্রধানমন্ত্রী