কলকাতা: বৃহস্পতিবার গণনা শুরু হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে ২২টিতে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৭ আসনে। বিজেপির ফলাফলেই বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যে নিজেদের পায়ের তলায় মাটি শক্ত করেছে বিজেপি। বাংলায় বেশী করে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “স্পিড ব্রেকার দিদি” বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, তাঁকে “এক্সপায়ারি বাবু” বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে প্রতিটি দফায় ভোটগ্রহণে ব্যাপক অশান্তি হয়।সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অন্যতম নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়েন, আমরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি। ফলাফলেই বোঝা যাচ্ছে রাজনীতিতে আমরা লড়াই করি না”।
বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলায় ভোট রিগিং এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পোস্ট করেন, “এই সব গল্পের মাধ্যমে ইভিএম বদলে দেওয়া, প্রভাবিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্ত বিরোধীদের আমি ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলব, শক্তিশালী এবং সাহসের সঙ্গে থাকুন। আমরা একসঙ্গে লড়াই করব”।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২টি আসনে জিতেছিল বিজেপি।তখন থেকেই এ রাজ্যে জোরদার প্রচার চালিয়েছে বিজপি। গত দুবছরে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিজেপি।বিভিন্ন সভা ও মিছিল এবং “জয় শ্রীরাম” স্লোগান এবং “মা দুর্গা” স্লোগানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।রাজ্যে লোকসভায় আসন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে বিজেপি।সেটা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একার লড়াই।বাম, ও কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ায় মূল লড়াই হবে পদ্ম ও ঘাসফুলের মধ্যে।প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ বামেরা, বিশ্লেষকদের দাবি, বামেদের থেকে চলে যাওয়া ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।বহু বাম কর্মীই তৃণমূলকে আটকাতে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে খবর।
তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুল তোষণের অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকরা।এমনকী, দলের নীচু তলার কর্মীদের ওপরেও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ।