বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার সাধরণ মানুষের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে: ডেরেক
হাইলাইটস
- লোকসভা নির্বাচনের সাত দফাতেই পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয়েছে
- আর সাত দফাতেই অশান্তির খবর মিলেছে, গিয়েছে প্রাণও
- ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি ভোট পরবর্তী হিংসাও
নিউ দিল্লি: বাংলায় কি জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি হয়েছে? নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাইল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের (General Elections 2019) সাত দফাতেই পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয়েছে। আর সাত দফাতেই অশান্তির খবর মিলেছে। প্রাণও গিয়েছে ভোট পর্বে। এড়ানো যায় নি ভোট পরবর্তী হিংসাও।এমতাবস্থায় বিজেপির দাবি যতদিন না পর্যন্ত নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি (Model Code Of Conduct) শেষ হচ্ছে ততদিন পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) রেখে দেওয়া হোক। এমন দাবি প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের (Poll Body) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek 'O Brien) এ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলেন।
Elections 2019: ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি
সূত্রের খবর কমিশনকে তিনি বলেছেন বিজেপির মন্ত্রীরা বলে দিচ্ছেন বাংলায় আরও এক সপ্তাহ বাংলায় বাহিনী থাকবে। আমাদের প্রশ্ন তাহলে কি বাংলায় বিজেপি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে? বাংলার জন্য বিশেষ নিয়ম কেন? কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার সাধরণ মানুষের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। তবু বাহিনী রেখে দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। এ নিয়ম মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
ডেরেক যখন কমিশনে তাঁর দলের বক্তব্য তুলে ধরছেন তার দিন তিনেক আগে আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অত্যন্ত জটিল। ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এমতাবস্থায় যতক্ষণ না পর্যন্ত গণনা শেষ হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে বাহিনী রেখে দিতে হবে।' সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ইন বাহিনী প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেছিলেন। এরপর তৃণমূলের তরফে কমিশনে দ্বারস্থ হয়ে দলের বক্তব্য তুলে ধরা হল।
বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
আগেই ডেরেক বলেছিলেন, ‘বিজেপি নিজের স্বভাবমতো আবার দেশকে ভুল বোঝানোর কাজ শুরু করেছে। আজ বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ নাগরিকদের অত্যাচার করছে। প্রান্তিক মানুষদের ওপরে বেশি করে আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতায় ভোগেন এমন মানুষদের উপরও নেমে আসছে আক্রমণ। কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছে। তাদের বলতে শোনা যাচ্ছে কামাল দাবাও নেহি তো ঠোক দেগা মানে বিজেপিকে ভোট না দিলে প্রাণ চলে যাবে।